মো. মোশারফ হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি:
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে আলু চাষীরা চিন্তিত ঃ শেরপুরের নকলায় সোমবার সন্ধ্যা হতে শুরু হওয়া আজ মঙ্গলবার এখন (দুপুর ১২টা) পর্যন্ত চলমান গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে আলু চাষীরা চিন্তিত হলেও অন্যান্য ফসলের চাষীরা বেজায় খুশি। তবে বৃষ্টিতে বাহিরে বেড় হতে না পারায় কমে গেছে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচার প্রচারনার কাজও। ছোট যানবাহন রাস্তায় না থাকায় স্থবির হয়ে গেছে স্থানীয় যাতায়াত, কিন্তু স্বাভাবিক আছে দূরপাল্লার ভ্রমণ।
পার্শবর্তী দেশ ভারতের ঘূর্ণিঝড় পেথাই’র প্রভাবে এই বৃষ্টি কয়েক দিন চলমান থাকলে এবং জমিতে পানি জমে গেলে আলুচাষীরা কিছুটা ক্ষতির সম্মূখীন হতে পারেন। তবে বিভিন্ন শাক সবজি, ফল ও অন্যান্য ফসলের খুব উপকারে আসবে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। সরজমিনে দেখা গেছে, অসময়ের এই বৃষ্টিতে রিক্সা ও ছোট যানবাহন না পাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষ, চাকুরিজীবী ও স্থানীয় যাযতয়াতকারীরা।
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ ও শেখ ফজলুল হক মণি বলেন, দুই এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেলে কৃষকের কোন ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। বর্তমানের বৃষ্টিতে কৃষকরা যে পরিমাণ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন, তা ঠিক নহে। তারা আরো বলেন, যেসব জমি আলু চাষের জন্য ও শাক সবজি রোপনের জন্য তৈরী করা হয়েছিলো, বৃষ্টিতে আপাতত সেসব জমির উপযোগিতা নষ্ট হলেও, বৃষ্টি বন্ধ হলে তাড়াতাড়ি তা ঠিক হয়ে যাবে। আর যেসব জমিতে শাক সবজি ও আলু গজিয়ে গেছে, সে সব জমির জন্য এই বৃষ্টি কোন ক্ষতি করবে না, বরং উপকার হবে বলে তারা আশা করছেন।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস জানান, চলমান এই বৃষ্টি কয়েক দিন অব্যাহত থাকলে আলু চাষীদের ক্ষতি হতে পারে। তবে আজ পর্যন্ত যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে কোন ক্ষতি হবেনা। বরং সরিষা, তুলা, মুগ ও মাসডাল, বেগুন, মরিচ, টমেটো, পেয়াঁজ, রসুন, শাক সবজি এবং বিভিন্ন ফল ও ফসলের খুব উপকারে আসবে। তবে বৃষ্টি কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে আলু ক্ষেতে মড়ক দেখা দিতে পারে এর জন্য আলু চাষীদের আগাম পরামর্শ দেওয়া শুরু করেছেন কৃষি কর্মকর্তাগন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, শীতের শুরুতে এই অসময়ে বৃষ্টির প্রভাবে শিশু ও বৃদ্ধদের ডাইরিয়া, বমি, সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগবালাই আক্রমন করতে পারে। তাই স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মাঠ পর্যায়ে সবাইকে সচেতন থাকতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।