কৃষক কৃষাণী প্রশিক্ষণ
মো. মোশারফ হোসাইন, শেরপুর প্রতিনিধি:
কৃষক কৃষাণী প্রশিক্ষণ ঃ শেরপুরের নকলায় আধুনিক উপায়ে আউশ ধান উৎপাদন কলাকৌশল এবং বাড়ীর আঙ্গীনায় বিভিন্ন ফল ও শাক-সবজি চাষের উপর দিনব্যাপী কৃষক-কৃষাণীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৩১ মে) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নকলা উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণ করানো হয়। দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ২টি গ্রুপে ৩০ জন করে মোট ৬০ জন কৃষক অংশ গ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ এফ.এম মোবারক আলী, উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক ট্রেনিং কোঅর্ডিনেটর কৃষিবিদ শাহজাহান সিরাজ, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রোকসানা নাসরিন প্রমুখ।
নকলায় ব্রিধান-৮৬’র সম্প্রসারনের লক্ষ্যে মাঠ দিবস
শেরপুরের নকলা উপজেলায় ব্রিধান-৮৬ এর উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩১ মে) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নকলা উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ব্রিধান-৮৬ এর পরিচিতি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উপজেলার নকলা ইউনিয়নের নকলা ব্লকের কৃষক মোফাখখারুল ইসলামের বাড়ীর আঙ্গীনায় এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার (ইউএও) কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস এর সভাপতিত্বে ও উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ এফ.এম মোবারক আলী ও বিশিষ অতিথি হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ শাহজাহান সিরাজ, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রোকসানা নাসরিন বক্তব্য রাখেন। এসময় উপসহকারী কৃষি অফিসার (এসএএও) সুজন দেবনাথসহ স্থানীয় প্রায় শত কৃষক-কৃষাণী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস জানান, ব্রিধান-৮৬ এর বেশ কিছু বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এ ধানের উৎপাদন মাটির প্রকার ও উর্বরাতা বিবেচনায় প্রতি একরে ৭১ মণ থেকে ৭৩ মণ। তাছাড়া এ ধানের চালে শতকরা ১০ ভাগ প্রোটিন রয়েছে, যা অন্য কোন ধানের চালে নেই। এ ধানের গাছ শক্ত হওয়ায় খাড়া থাকে, ফলে গাছ সহজে মাটিতে লুটিয়ে পড়েনা। এসব বিশেষ গুরুত্ব থাকায় ব্রিধান-৮৬ এর প্রতি কৃষকরা আগামী বছর থেকে ঝুঁকবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।