Site icon

শ্রীপুর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন

শ্রমিকদের মানববন্ধন

শ্রমিকদের মানববন্ধন

কৃষি সংবাদ ডেস্ক

শ্রমিকদের মানববন্ধন : সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পাথর শ্রমিকরা। সহ¯্রাধিক শ্রমিক সিলেট-তামাবিল সড়কের জৈন্তাপুর বাজারে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার বৃহৎ পাথর কোয়ারি শ্রীপুর থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকার কারণে ৩০ সহ¯্রাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। শ্রমিকদের ঘরে ঘরে চলছে হাহাকার। বন্ধ হয়ে পড়েছে সন্তানদের লেখাপড়া। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় অনাহারে দিন কাটছে শ্রমিক ও তাদের পরিবারের।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রজ্ঞাপনের ৯৫ বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যথা সময়ে সিলিকা বালু, সাধারণ পাথর এবং বালু মিশ্রিত পাথর ইত্যাদির কোয়ারি ইজারা প্রদান করা না হলে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক খনিজ সম্পদ ব্যুরোর পক্ষে কোয়ারি এলাকার খাস ভূমি ইজারা দিয়ে অর্থ আদায় করে খনিজ সম্পদ ব্যুরোর নির্দ্দিষ্ট কোডে জমা দেবেন। অথচ এ প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে কোয়ারি বন্ধ রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ কোয়ারি ইজারাও দিচ্ছেন না, খাস আদায়ের মাধ্যমে কোয়ারি খুলে দেওয়া হচ্ছে না। এতে করে ৩০ সহ¯্রাধিক শ্রমিক পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অথচ এ কোয়ারি খুলে দিতে সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
বক্তারা, মানবিক দিক বিবেচনা করে শ্রীপুর পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবি জানান। পাথর কোয়ারি খুলে না দিলে আগামী বুধবার থেকে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভাসহ বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয় মানববন্ধন থেকে।
বৃহত্তর জৈন্তাপাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর বালু পাথর সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক রাজা, জৈন্তাপুর ট্রাকচালক উপকমিটির সভাপতি নুরুল হক নুুরু, বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতি আলী আকবর, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবসায়ী আফজল হোসেন, পরিবহন শ্রমিক নেতা সুনীল দেবনাথ, শ্রমিক নেতা আবদুল জলিল, শ্রমিক নেতা আবদুর রহমান, আদর্শগ্রাম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মানিক আহমদ, ৪ নং বাংলাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কুটই মিয়া, আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি আবদুল জলিল, গুচ্ছগ্রামের আবদুল আজিজ, আবাসন সভাপতি নুর মোহাম্মদ, ব্যবসায়ী নেতা শফিকুল ইসলাম, আবদুল হান্নান, আবদুশ শুক্কুর।

Exit mobile version