২০১৪ সালে শিবপাশার হাওর এলাকায় খালেদ প্রায় ৩২ একর জমিতে ১৪টি পুকুর খনন করেন। এসব পুকুরে শুরু করেন নানা প্রজাতির মাছ চাষ। তারপর পুকুর পাড়ে শুরু করলেন সবজি ও ফলের চাষ। কিছুদিন পরই সফলতা আসতে শুরু করে। বাড়তে থাকে পুকুরের মাছ। পাড়ে সবজি ও ফলের বাম্পার ফলন হয়। বছর না ঘুরতেই পুকুরের মাছ, মৌসুম অনুযায়ী সবজি ও বারমাসি ফল বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে পান খালেদ। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে থাকাতে হয়নি। খালেদের এই প্রকল্পে ৩০ থেকে ৩৫ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা মাসিক বেতন পাচ্ছেন। তাদের থাকা-খাওয়াও এখানেই।
আলাপ কালে খালেদ বলেন, ৩২ একর জমিতে এই প্রকল্প গড়ে তোলা হলেও ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারণ করা হবে। খনন করা হবে আরও পুকুর, পাড়ে চাষ করা হবে সবজি। তিনি আরও বলেন, এখানকার প্রাকৃতিক ঘাস দিয়ে গরু পালন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বছরে অর্ধকোটি টাকা লাভ হচ্ছে। তবে এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক। বর্ষায় পথ চলা বড়ই কঠিন। সফলতার জন্য ২০১৫ সালে মৎস্য সপ্তাহে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খালেদকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, খালেদ বেকার যুবকদের অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন। তিনি গোবরে পদ্মফুল ফুটিয়েছেন। যে স্থানে বছরে একবার ধান চাষ হতো, সেখানে তিনি মাছ আর সবজি চাষ করে বছরে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। তার সফলতা দেখে এলাকার বেকার যুবকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, খালেদ অসাধ্য সাধন করেছেন। তার এ অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিতে আমরা সার্বক্ষণিক দেখভাল করছি।। আলোকিত বাংলাদেশ