কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ
ধানের ভাসমান বীজতলা
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিস বন্যা ও জলাবদ্ধ প্রবণ এলাকা গুলিতে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কৌশল নিয়ে ভাসমান বেডে বীজতলা তৈরিতে উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন এই পদ্ধতি কৃষকদরে মাঝে সাড়া ফেলে দিয়েছে এবং উপজেলার যে সমস্ত এলাকায় প্রতি বছরই বন্যা ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় সে সব এলাকার কৃষকদের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে। এত দিন যেসব কৃষক র্বষার সময় তাদের জমিগুলি সময়মত চারা তৈরি করতে না পেরে সময়মত চাষ করতে পারতো না। নতুন এই পদ্ধতি তাদের বুকে আশার সঞ্চার করেছে।
বন্যা প্রবন এলাকার কৃষকগণ জানান,নতুন এই পদ্ধতিতে এবছর যে সব ভাসমান চারার বেড তৈরি করা হয়েছে সেগুলিতে বেশ ভাল চারা উৎপাদন হয়েছে। আগামীতে তারা নিজেরাই এই বেড তৈরি করে চারা উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মিটানোর পর অন্যান্য এলাকাতে সরবরাহ করতে পারবেন। এতে করে র্বষা মৌসুমে উপজেলায় যে চারা সংকট দেখা দেয় সে সংকট আর হবেনা বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শাহানগাছা গ্রামের কৃষক মোঃ আঃ রহমান জানান, তাদের এলাকায় প্রতিবছর বন্যা হয়। যে কারণে তারা সময়মত বীজতলা তৈরি করতে পারে না ফলে সময়মত বীজতলা তৈরি করতে না পারায় ঠিকমত আবাদ করতে পারেনা। এতে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। নতুন এই পদ্ধতি আসায় এখন আর তাদের চারা উৎপাদনে সমস্যা হবেনা ফলে তাদের আর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না।
সিরাজগঞ্জ সদর উ্পজেলা কৃষি র্কমর্কতা মোঃ রোস্তম আলী বলেন, প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় উপজেলায় ১০ টি ভাসমান বীজতলা তৈরী করা হয়েছে। নাবী জাতের বিআর -২২ ধানের বীজ ব্যবহার করা হয়েছে।এই বীজতলা তৈরি করতে কাচা কচুরী পানা বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ ও কলাগাছ দিয়ে বেড তৈরি করতে হয়। এই সব বেডে অংকু্রিত বীজ বুনতে হয়। ২০/২৫ দিনের মধ্যে চারা উৎপাদিত হয় এবং রোপণের উপযোগী হয়। এতে খরচ নেই বললেই চলে। পানি থাকাকালীন অবস্থায় এই বেড পানিতে ভাসিয়ে রাখা যায়। আবার পানি শুকিয়ে গেলে জমিতে রাখা যায়। সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোঃ আরশেদ আলী জানান,এটি একটি আপদকালীন প্রযুক্তি। কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য এ বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা লাভবান হবে। বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে কৃষকরা রক্ষা পাবে।