ট্রেতে বীজতলা স্থাপন
কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ
ট্রেতে বীজতলা স্থাপন ঃ সিরাজগঞ্জ সদরে বন্যা মোকাবেলায় প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় নাবী জাতের রোপা আমন ধানের আপদকালীন কমিউনিটি বীজতলা,ট্রেতে বীজতলা ও ভাসমান বীজতলা স্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতিক বন্যা এবং বন্যার পানি জমে রোপা আমন ধানের বীজতলা বেশ কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । ক্ষতি মোকাবেলায় আপদকালীন বীজতলা আপদকালীন বীজতলা তৈরী করেছেন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রোস্তম আলী জানান, রোপা আমন ধানের বীজতলার ক্ষতি মোকাবেলায় প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সদর উপজেলায় মোট ৫ (পাঁচ) একর জমিতে আপদকালীন কমিউনিটি বীজতলা, ২০টি ভাসমান বীজতলা ও রাইচ ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে রোপনের জন্য ৪১৬টি ট্রেতে চারা স্থাপন করা হয়েছে। বীজতলা যেসব কৃষকের জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে,সে সকল এলাকার কৃষককে ১.৬৫শতকের বীজতলার চারা প্রদান করা হবে যাতে ০১(এক) বিঘা জমিতে চারা লাগাতে পারে। মোট ৩০৩ জন কৃষক ৩০৩বিঘা জমির চারা পাবেন। ২০টি ভাসমান বীজতলা ০৫ জন কৃষককে ৪ টি করে ভাসমান বীজতলার চারা পাবেন এবং ৪১৬টি ট্রের ১৬জন কৃষককে ১৬বিঘা জমিতে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে রোপনের জন্য চারা প্রদান করা হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আরো জানান বড় হামকুড়িয়া,পোটল ছোনগাছা,নিয়োগীবাড়ী ও চন্দ্রকোনা গ্রামে কমিউনিটি বীজতলা,দত্তবাড়ী গ্রামে ট্রের বীজতলা এবং পাঁচঠাকুরী গ্রামে ভাসমান বীজতলা স্থাপিত হয়েছে। বীজতলার অবস্থা বেশ ভাল। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে এসব চারা কৃষকের মাঝে বিতরন করা হবে।
বড় হামকুড়িয়া গ্রামের কৃষক এস এম স্বপন,কৃষি বিভাগের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং রোপা আমন ধানের জাতটি নাবী হওয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সহায়তা পাবে এবং ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবে।
কৃষি বিভাগের আপদকালীন বীজতলাগুলো কৃষকের মাঝে সাড়া ফেলেছে। বন্যার ক্ষতি মোকাবেলায় এসব চারা কৃষকের চাহিদা মোকাবেলা করতে সক্ষম না হলেও অনেকটা উপকারে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।