কৃষিসংবাদ ডেস্কঃ
বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের খাল ও কুমির জরিপ চলছে। বিলুপ্তির পথে থাকা নোনাপানির প্রজাতির কুমিরের সংখ্যা নির্ণয়ের জন্যই বন বিভাগ ও সেন্টার ফর এ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল রিসোর্সেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ক্যারিনাম) যৌথভাবে এ জরিপ কাজ চলছে। একই সাথে সুন্দরবন জুড়ে চলছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল, চিত্রল হরিণসহ বন্যপ্রাণী, জীববৈচিত্র ও খাল জরিপের কাজও। সুন্দরবনের বাঘ প্রকল্পের আওতায় ইউএসএআইডি ও বনবিভাগের ওয়াইল্ড টিমের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ অংশে এ জরিপ ও গণনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখ বিকেলে মংলা ফরেস্ট ঘাটে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে কুমির জরিপ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহিরউদ্দিন আহমদ।
বন বিভাগ ও ক্যারিনামের সমন্বয়ে গঠিত ৪০ সদস্যের টীম সুন্দরবনে ১৫ দিন ধরে জরিপ করবে। খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহিরউদ্দিন আহমেদ জানান, সুন্দরবনের নোনাপানির প্রজাতির কুমিরের প্রকৃত সংখ্যা জানার জন্য এই জরিপ চালানো হচ্ছে। আর এ জরিপ কাজে আর্থিক সহায়তা করছে বিশ্বব্যাংক। ১৯৮৫ সালে আইআরএমের জরিপ শেষে দেয়া পরিসংখ্যানে জানা যায়, ১৫০ থেকে ২০০টি নোনাপানির কুমির রয়েছে সুন্দরবনে। তবে তা কমে বর্তমানে একশ’র নিচে বলে জানিয়েছেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আবদুর রব। সূত্রে জানা যায়, বন্য প্রাণী জরিপে ইউএসএআইডি ব্যয় করছে এক কোটি ২৪ লাখ টাকা। জরিপ কাজ শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) জাহিদুল কবির জানান, ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্রের জরিপের পাশাপাশি এই বনের খালগুলো গণনাসহ হালনাগাদ প্রকৃত অবস্থা জানতে জরিপ শুরু হয়েছে। সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে এক হাজার ৮৭৪ বর্গ কিলোমিটার নদ-নদী ও খাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। জোয়ারের পানির পলিমাটি ‘জমে’ বনের খালগুলোর বর্তমান অবস্থা কোন পর্যায়ে রয়েছে হাল নাগাদ সেসব তথ্য জরিপে উঠে আসবে। এছাড়া বিগত বছরগুরোতে সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর উপকূল জুড়ে বিশাল বিশাল চর জেগে ওঠার পর প্রাকৃতিকভাবে সেখানে ম্যানগ্রোভ বনের সৃষ্টি হয়েছে। এসব নতুন বন এলাকায়ও সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন খাল। এসব খাল এখনো রয়ে গেছে সুন্দরবন বিভাগের জরিপ বা গণনার বাইরে।
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম