কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহ
মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের চ্যান্সেলর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৭(১) ধারা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কৃষি বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কৃষিতত্ত্ববিদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেষ্ঠ শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ সুলতান উদ্দিন ভূঞাকে চার বছরের জন্য ইশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দান করেছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আব্দুস সাত্তার মিয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
ড. মোঃ সুলতান উদ্দিন ভূঞ ১৯৫০ সনের ২৪ অক্টোবর গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বিশিষ্ট সমাজসেবি আব্দুল কবির ভ’ঞা ও মাতা মোছাঃ রোমেছা খাতুন।
শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের অধিকারী প্রফেসর সুলতান উদ্দিন ভূঞা একজন কৃষিবিদ এবং বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ছিলেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে শিক্ষা জীবন শেষ করে সেখানেই শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। তিনি ১৯৮৩ সনে মস্কোর তিমিরায়েজিব এগ্রিকালচারাল একডেমী হতে পিএইচ.ডি. ডিগ্রিলাভ করেন। ১৯৯৫ সনে তিনিবাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তেতাল্লিশ বছরের শিক্ষকতা জীবনে গবেষণা ও শিক্ষক সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের অগ্রভাগে থেকে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি একজন অতিপরিচিত মুখ। তাঁর তত্ত্বাবধানে ১৫ জন ছাত্র পিএইচ.ডি. এবং ২০০ এর বেশী ছাত্র-ছাত্রী এম.এসসি. (এজি.) এবং এম.এস. (এগ্রোনমী) ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর গবেষণালব্ধ ১৫০ টিরও বেশী গবেষণাপত্র দেশী ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়। তাছাড়াও প্রফেসর ভূঞার ৫০টিরও বেশী পপুলার আর্টিকেল রয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীর জন্য তিনি ৯টি পাঠ্যপুস্তক রচনা করেছেন। তিনি বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক মানের সায়েন্টিফি জার্নালের প্রধান এডিটর হিসাবে কাজ করছেন।দেশী ও বিদেশী অর্থায়নে তিনি ১৫টি গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করেন।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী প্রফেসর ভূঞা দেশী ও আন্তর্জাতিক ১০টি প্রফেশনাল সোসাইটির সদস্য। গবেষণার কাজে তিনি যুক্তরাজ্য, চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, হংকং, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, কেনিয়া ও ইথিওপিয়া সফর করেন। শিক্ষকতা ও গবেষণার বাইরে তিনি পোস্ট গ্রাজুয়েট ছাত্র-ছাত্রীদের ডীন (কো-অর্ডিনেটর), বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের ডাইরেক্টর, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রয়োজনে গঠিত বিভিন্ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
একজন নিবেদিত প্রাণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর ভূঞা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিলেকশন কমিটির সদস্য, কমনওয়েলথ স্কলার সিলেকশন কমিটির সদস্য, পাবলিক সার্ভিস সিলেকশন কমিটির সদস্য ও জাতীয়বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশিপ কমিটির সদস্য ও চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পেশাগত সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে জড়িত।
ব্যাক্তিগত জীবনে প্রফেসর ভূঞা স্ত্রী ও দুইপুত্র সন্তানের জনক।
