Site icon

স্মার্ট বাংলাদেশ ও সেবা সহজিকরণ নিয়ে সিকৃবিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা

সিকৃবি

সিকৃবিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা

সিকৃবিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা:স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মাণে সেবা সহজিকরণ বিষয়ক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিকৃবির ইনোভেশন ও ইগভার্ন্যান্স কমিটির সহযোগিতায় ও ইনস্টিটিউশনালকোয়ালিটি এশ্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে এই প্রশিক্ষণটি অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর। ৫ মার্চ রবিবার সকাল থেকে দিনব্যাপি এই প্রশিক্ষণটি চলে। প্রশিক্ষণটি উদ্বোধন করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা, পাশাপাশি তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যও রেখেছেন।

ইনোভেশন ও ইগভার্ন্যান্স কমিটির ফোকাল পয়েন্ট খলিলুর রহমান ফয়সালের সঞ্চালনায় এবং আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. পীযুষ কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইনোভেশন ও ইগভার্ন্যান্স কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং সিলেট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাইন মোঃ আল-জুনায়েদ। স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন এপিএ-এর ফোকাল পয়েন্ট ড. ইকবাল হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, “সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়। যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেবা গ্রহণ করছেন, তারা যাতে সবসময় সেটিসফাইড (সন্তোষ্ট) থাকেন তার জন্য বিভিন্ন বিভাগে ও দপ্তরে সেবা সহজিকরণের দিকে মনঃযোগ দিতে হবে।” ভাইস-চ্যান্সেলর প্রতিটি অফিসে দ্রæত সিটিজেন চার্টার তৈরি করার জন্য আহবান করেন। পাশাপাশি তিনি কম সময়ে ও কম খরচে কাজ সম্পন্ন করার এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিতে তাগিদ দেন।

সিকৃবিতে অনলাইনে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার নতুন সেবা সহজিকরণের পদ্ধতি চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন ভাইস-চ্যান্সেলর। তিনি বলেন, “একটি লম্বা পদ্ধতিকে কিভাবে ১ দিনের ভেতর সম্পন্ন করার যায় তার প্রস্তুতি চলছে। ডি-নথি চালু করার প্রকৃয়া ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছি।” এযুগে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল কর্মকর্তা এখনো কম্পিউটার ব্যবহার করতে জানেন না, তাদের দ্রæত কম্পিউটার
চালনাসহ তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ হবার অনুরোধ জানিয়েছেন ভাইস চ্যান্সেলর। এদিকে সকাল থেকেই সিকৃবির ডিনবৃন্দ, চেয়ারম্যানবৃন্দ, দপ্তর প্রধানবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ, হল প্রভোস্টবৃন্দ, ফোকাল পয়েন্টবৃন্দ ও শিক্ষার্থীসহ ১০৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাইন মোঃ আল-জুনায়েদ এই প্রশিক্ষণটি প্রদান করেন। “সার্ভিস সিম্পলিফিকেশন ইন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন” শিরোনামে তিনি প্রশিক্ষণটি প্রদান করেছেন। প্রশ্নোত্তর ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি পর্বের মাধ্যমে
প্রশিক্ষনটি জমে উঠে।

Exit mobile version