Site icon

হাওরের সমস্যা পরিদর্শনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদল

 

মো. আউয়াল মিয়া,  বাকৃবি প্রতিনিধি

বর্তমানে হাওর এলাকার সৃষ্ট পরিস্থিতির উন্নতির পথে। জলজ প্রাণীর মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা হাওরে ঘুরো আমরা কোন মৃত জলজপ্রাণী দেখতে পাইনি। এই অবস্থায় হাওর অঞ্চলের জীব বৈচিত্র্য নিয়ে শংকিত হওয়ার কিছু নাই। সোমবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অধিনস্থ হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের একটি বিশেষজ্ঞ দল নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ডিঙ্গি পোতা হাওর পরিদর্শন করে এসব কথা বলেছেন।
তাঁরা আরও জানান, আমরা গভীর হাওর থেকে শুরু করে কয়েকটি স্থানের পানি পরীক্ষা করে পানির পিএইচ (৭.৫), পানিতে দ্রবিভূত অক্সিজেন (৪-৬.৫), অ্যামোনিয়া গ্যাসের (.০২%) পরিমান স্বাভাবিক পেয়েছি। পানিতে ভারী ধাতু আছে কিনা পরীক্ষার জন্য পানি ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
তাঁরা আরও বলেন, কচি ধান পানিতে তলিয়ে এনঅ্যারোবিক ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ার ল্যাকটিক এসিড তৈরি হওয়ায় পানির পিএইচ, পানিতে অক্সিজেন, অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইট গ্যাসসহ অন্যান্য গ্যাস তৈরি হওয়ায় মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীর মৃত্যুও হয়েছে। কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত বৃষ্টি পানি মিশে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তারা অধিক গবেষণার জন্য মাটি ও পানির নমুনা সাথে নিয়েছেন যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যাধুনিক গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হবে। তবে বিশেষজ্ঞ দল এ এলাকায় কোন মরা মাছ কিংবা হাঁসের সন্ধান পাননি বলেও জানিয়েছেন।
কৃষি, মৎস্য, প্রাণী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি ওই দলের নেতৃত্বদেন হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুর রহমান সরকার। দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান, অধ্যাপক ড. সুভাস চন্দ্র দাস।

Exit mobile version