মোস্তাফিজুর রহমানঃ
“হেলদি লাইভস্টোক ফর হেলদি নেশণ”(Healthy Livestock for healthy Nation) কে প্রতিপাদ্য বিষয় ধরে প্রথম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ২০১৬ পালিত হয়েছে হাবিপ্রবিতে। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সংগঠণ “বাংলাদেশ সোসাইটি ফর লাইভস্টক ওয়েলফেয়ার এন্ড রিসার্চ”(বিএসএলডব্লিউআর) সারাদিন ব্যাপি এই অনুষ্ঠান করেছে। ২৮ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় অনুষ্ঠানের শুরু হয়ে তা দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচিতে পালন করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানের প্রথান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর মোঃ রুহুল আমীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর মোঃ মিজানুর রহমান।
উক্ত সেমিনারের প্রথম অধিবেশনের শুভ উদ্ভোধন করেন হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর রুহুল আমীন। গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের Imposrtant infectious and emerging disease of human-animal-interface in Bangladesh;possible risk and resolution’ উপর কি নোর্ট উপস্থাপন করেন , বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথোলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ আবু হাদী নুর আলি খান। উক্ত উপস্থাপনায় তিনি অতান্ত সুন্দর ভাবে আমাদের দেশের বিব্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা এবং জুনোটিক রোগের ভয়বহতা তুলে ধরেন। ঐ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য জনসচেতনতার পাশাপাশি হিউমান ডাক্তার এবং ভেটেরিনারিয়ানদের একসাথে কাজ করে রোগ নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর লাইভস্টক ওয়েলফেয়ার এন্ড রিসার্চ এর সভাপতি প্রফেসর ডা. এসএম হারুন-উর-রশীদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. আনিস খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. বলরাম রায়, ভেটেরিনারি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোছা. আফরোজা খাতুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. সাইফুর রহমান, দিনাজপুর জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শংকর কুমার বসাক
লাইভস্টোক সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাবিপ্রবির রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, সমাজ যেমন সবার কথা চিন্তা করে, তেমনি হাবিপ্রবির ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের এই মহৎ উদ্যোগ দেশের জন্য উপকার বয়ে আনবে। শিক্ষকদের সামাজিক দ্বায়বদ্ধতাকে আরো ভালো ভাবে উপলব্ধি করে দেশের জনগনের কাজ করতে হবে। সবাই সচেতন ভাবে দেশের জন্য কাজ করলেই কেবল মানষিক ও শারীরিক ভাবে নিশ্চিন্তে থাকা যাবে।
সোসাইটির সদস্য হয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করে ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইয়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ আফরোজা খাতুন বলেন, আমরা ক্যাম্পাসের আশেপাশের মানুষের গবাদীপশুদের অনেক ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছি। বিনামুল্যে টিকা প্রদান ও চিকিৎসা, শীতের তীব্রতা থেকে গবাদীপশুকে মুক্ত রাখার জন্য বস্তা দিয়েও সাহায্য করে আসছি। এই সোসাইটিতে ফান্ড বরাদ্ধ করা হলে এই সকল সামাজিক কাজ করা অনেক সহজ হবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি ।
দিনাজপুর জেলা লাইভস্টোক অফিসার জনাব সংকর কুমার বসাক বলেন , বাংলাদেশ আমিষে চাহিদা পুরণের পথে। আর হাবিপ্রবির এই রকম মহৎ উদ্যোগ সেই কাজকে খুব সহজেইও তার লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে সাহায্য করবে। দেশের ক্রমবর্ধমান রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রনে ভেটেরিনারিয়ানদের এগিয়ে আসতে হবে ।
ডা; মোঃ আতিকুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবির সাবেক প্রক্টোর ও প্যাথোলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ এস এম হারুনুর রশীদ।
সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ এস এম হারুন উর রশীদ বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে আজ এই সম্মেলন সফল হয়েছে। দেশের প্রতি দ্বায়িত্বনুভুতি নিয়ে আমাদের আরো সামাজিক কাজ করতে হবে। এই রকম প্রতিটি সেক্টোরে সমাজকে দেয়ার মত সংগঠোন করে এগিয়ে আসতে হবে তাহলেই দেশের উন্নয়ন আরো বেগবান হবে। এই সমিতির ফান্ডের ব্যবস্থা হলে সীমাবদ্ধ কাজের পরিধি অনেকাংশে বাড়ানো সম্ভব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. রুহুল আমিন বলেন, বর্তমান সরকরের রুপকল্প-২০২১ এর বাস্তবায়নকল্পে প্রানিসম্পদের কল্যাণ, তাদের সুস্বাস্থ্য এবং জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এ ধরনের একটি বৈজ্ঞানিক সোসাইটির গুরুত্ব অপরিসীম। এ সোসাইটির বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন বিনামূল্যে গৃহপালিত প্রাণী ও পাখির চিকিৎসা, টিকাদান কর্মসূচি, ডেইরি ও পোল্ট্রি খামারীদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি প্রশংসার দাবিদার। এ ধরনের উদ্যোগ নিরাপদ ও কম মূল্যে প্রাণিজ খাবারের সংস্থানসহ প্রাণিকূলের কষ্ট লাঘবে ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
পরে বিকাল তিনটায় বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন গবেষনা উপস্থাপণ করেন হাবিপ্রবির বিভিন্ন গবেষকগণ। উক্ত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ খালেদ হোসেন, ড. ফারুক ইসলাম, ড. আব্দুল গাফফার মিয়া সহ সোসাইটির সকল সদস্য সহ হাবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রী গন।