হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
আজ (১২ এপ্রিল ২০১৭) হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক কোর্সের লেভেল-১ সেমিস্টার-১ এর ছাত্র-ছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. এস.এম. হারুন-উর-রশীদের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন- ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. রুহুল আমিন, হল সুপার কাউন্সিল এর আহবায়ক ও ভেটেরিনারি অনুষদের ডীন প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এটিএম শফিকুল ইসলাম, অভিভাবকদের মধ্যে কৃষিবিদ মো. ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার পক্ষে ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ আহমেদ নয়ন, মোস্তাফা তারেক চৌধুরী, বিদেশী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেপালের মমতা পাখরিন ও নাইজেরিয়ার আব্দুস সামাদ দাহিরু, নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চিতা ও মো. ইমরান হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. সাইফুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, ১৯৯৯ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। আঠারো বছর আগে যে ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করেছিল আজ সেটি অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সুদৃষ্টি এবং হাবিপ্রবি পরিবারের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় এটা সম্ভব হয়েছে। এর জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।
নবীন শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি ইদানীং লক্ষ্য করছি যে যুব সমাজের অনেক নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে, তারা মাদকসহ নানা অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অনেকে ধর্মের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে আমি তোমাদের এহেন কাজ থেকে সর্বদা বিরত থাকার আহবান করছি। তোমরা এখান থেকে জ্ঞান আহরন করে দেশ বিদেশে জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে এবং নিজেদেরকে সৃজনশীল কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত রাখবে।