প্রশ্ন: আম বাগানের গুটি আসার পরবর্তি সময়ের কি করা উচিত?
উত্তর: আমগাছে গুটি আসার পর প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার হারে রিপকর্ড অথবা Caught 10 EC অথবা সাইথ্রিন ১০ ইসি অথবা Sinocord 10 EC নামক কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। একই সাথে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে ইন্ডোফিল এম ৪৫ অথবা পেনকোজেব ৮০ ডব্লিউ পি অথবা হেমেনকোজেব ৮০ ডব্লিউ পি অথবা গোল্ডজেব ৮০ ডব্লিউ পি
প্রশ্ন:আম গাছের গুটি ঝরে যাওয়া রোধ করার করনীয় কি?
নলীনি দাস, সেতাবগঞ্জ,দিনাজপুর।
সমাধান আম গাছের গুটি ঝরে যাওয়া রোধের জন্য গাছে নিয়মিত প্রয়োজনীয় পরিমান সেচ প্রদান করুন। খরা বেশী হলে গুটি আমে পানির স্প্রে করতে পারেন। এছাড়াও সিকোগ্রীন / বেফোলান নামক মিশ্র তরল সার প্রতি লিটার পানিতে ৩-৪ মিলি লিটার পরিমান মিশিয়ে গাছে স্প্রে করুন। আশা করি উপকার পাবেন।
প্রশ্ন:আমের ফুল ঝরে যায়। প্রতিরোধে করণীয় কি?
আহামেদ কবীর, কুড়িগ্রাম
সমাধান: আমের ফুল ঝরে যাওয়া রোধ করার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম হারে ডায়থেন এম ৪৫ অথবা ইন্ডোফিল এম অথবা ব্যাভিস্টিন অথবা নোইন নামক ছত্রাকনাশক মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । সেই সাথে গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি সেচ দিতে হবে।
প্রশ্ন: আম গাছে কোন কোন বছর প্রচুর ফুল হয় কিন্তু ফল হয় না। আবার কোন কোন বছর ফুল-ফল কিছুই হয় না। আগাম কোন ব্যবস্থা নিলে আমের ফলন ভাল করা যাবে?
নাইমুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ,চাদপুর।
সমাধান: আম গাছে কার্তিক, অগ্রহায়ন, পৌষ, মাঘ এই ৪ মাস পানি সেচ এবং সার প্রয়োগ করা যাবে না। আম গাছে মুকুল বের হওয়া শুরু হলে প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলিগ্রাম হারে রিপকর্ড বা ক্যারাটে এবং ২.৫ গ্রাম হারে ডায়থেন এম ৪৫ অথবা ইন্ডোফিল নামক ছক্রাকনাশক মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আমের আকৃতি মটর দানার মত হলে আরেকবার এবং মার্বেল আকৃতির হলে আবার একই মাত্রায় উপরোক্ত বালাইনাশক গুলো স্প্রে করতে হবে। প্রতি বছর বর্ষার শুরম্নতে প্রতিটি আম ও লিচু গাছের গোড়ায় ৩০ কেজি পচা গোবর সার, ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ২০০ গ্রাম এমওপি. ২০০ গ্রাম জিপসাম, ৬০ গ্রাম জিংক সালফেট মনো, এবং ৬০ গ্রাম সলুবার বোরন সার প্রয়োগ করতে হবে। বর্ষার শেষে আবার গাছ প্রতি ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ২০০ গ্রাম এমওপি প্রয়োগ করতে হবে। লিচু গাছে জানুয়ারী মাসে প্রতি লিটার পানিতে ১.২৫ মিলিলিটার হারে ভারটিমেক নামক মাকড় নাশক মিশিয়ে ১ বার স্প্রে করতে হবে।