দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২শ টন আম যাবে ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে

২শ টন আম যাবে ইউরোপ

২শ টন আম যাবে ইউরোপ

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট : ২শ টন আম যাবে ইউরোপ ঃ মিষ্টি আমে ভরে গেছে :দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাগেরহাট.সাতক্ষীরাসহ   ১০ জেলার হাট-বাজার। প্রশাসনিক আদেশের পর গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ ও বৈশাখী আমসহ স্থানীয় জাতের আম বাজারজাত শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। তবে সাতক্ষীরার বিখ্যাত হিমসাগর আম পেতে এখনও সময় লাগবে ১৫ দিন। সাতক্ষীরার হিমসাগর আম এ বছরও ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে রফতানি হবে।

তীব্র তাপদাহের কারণে এ বছর সাতক্ষীরা জেলায় আম আগে থেকেই পরিপক্ক হয়ে পড়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই ব্যবসায়ীরা স্থানীয় জাতের আম ভাঙতে শুরু করেছে।  যশোর, খুলনা, মাগুরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও বাগেরহাটসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় ১২ মে জেলা প্রশাসনের আদেশের পর গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ আম ব্যাপকভাবে বাজারজাত শুরু হয়।  যশোর, খুলনা, মাগুরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও বাগেরহাটসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলা শহরেরবাজার, সহ গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলো আমে ভরে গেছে।

সাতক্ষীরার বড় বাজারের আম ব্যবসায়ী ইদ্রিস মোড়ল জানান, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাটবাজারে অবস্থান করছে। প্লাস্টিক ক্যারেটে এসব আম প্রক্রিয়াজাত করে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রতিদিন সাতক্ষীরা থেকে প্রায় ৫ শতাধিক টন আম দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চলে যাচ্ছে। ১৫ দিন পর হিমসাগর, ন্যাংড়া ও আম্রপালি আম ভাঙা শুরু হলে আমের বাজার এখানকার বাজারের থেকে দ্বিগুন হয়ে যাবে। বর্তমানে দেশি আম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা দরে। এছাড়া হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা প্রতি কেজি। তবে হিমসাগর আম এখনও ভাঙা শুরু হয়নি। কিছু আম যাদের পেকে গেছে শুধুমাত্র তারাই বাজারজাত করছেন।

তালা সদরের শিবপুর এলাকার রাবেয়া বসরী বৈশাখী বলেন, ফলন ভালো হলেও ঝড়ে গাছের আম পড়ে যাচ্ছে। তিব্র গরমের কারণে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আম আগেই পেকে গেছে। গত বছর থেকে এ বছর আমের ফলন বেশি হয়েছে। তবে আমের দাম বেশি।

সাতক্ষীরার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস  বলেন, সাতক্ষীরায় এবার আমের ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে আম বাজারজাত শুরু হয়ে গেছে। এ বছর সাতক্ষীরা থেকে হিমসাগর, ন্যাংড়া ও আম্রপালি আম ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের বাজারে রফতানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২শ মেট্রিক টন। এ কারণে জেলার ১৪ হাজার ৪৫১টি হিমসাগর, ন্যাংড়া ও আম্রপালি গাছ বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া অপরিপক্ক আম ভাঙা থেকে বিরত থাকতে ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে বলা হয়েছে। তাছাড়া আমে কোনো প্রকার ক্যামিকেল মিশ্রন না করার জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। কেউ এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advisory Editor

Advisory Editor of http://www.krishisongbad.com/

Learn More →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *