নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ফসলের পোকা দমনে চাই জৈব কীটনাশক ব্যবহার। রাসায়নিক বালাইনাশকের অনেক ক্ষতিকর দিক আছে। সেদিক বিবেচনা করে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করতে হবে। জমিতে জৈব কীটনাশক প্রয়োগে চাষির উৎপাদন খরচ কমায়। ফসলকে নিরাপদ করে। পরিবেশকে রাখে অনুকূলে। গত ১৫ মে বরিশালের রহমতপুরস্থ আরএআরএস প্রশিক্ষণকক্ষে কৃষি কর্মকর্তাদের দু’দিনের এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বারির পিএসও ড. মো. সুলতান আহমেদ, ড. মো. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, ড.একেএম জিয়াউর রহমান। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহাবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আক্তারুজ্জামান সরকার প্রমুখ।
বাংলাদেশ শাকসবজি, ফল ও পান ফসলের পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশকভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেণ। এদিকে, একইদিনে উজিরপুরের দক্ষিণ সিকারপুরে পান ফসলে জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনার ওপর মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়।