বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস
কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ
বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস এর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, শুধুমাত্র টিকা প্রদান ও জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই জলাতঙ্ক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। কুকুর ও বিড়ালকে সময়মত টিকা প্রদানের পাশাপাশি মানুষকেও সময়মত টিকা গ্রহণ করতে হবে। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। আজ শনিবার ১৩তম বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০১৯ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষ্যে সিভাসু ক্যাম্পাসে আজ ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় এক বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও টিকাদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সিভাসু অডিটোরিয়ামে “জলাতঙ্ক: নির্মূল করার জন্য টিকা দিন ( Rabies: Vaccinate to Eliminate )” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। অনুষ্ঠানে প্রতিপাদ্য বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল আহাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পোল্ট্রি রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ^াস ও সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ রিয়াদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন।
সিভাসু ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ ও ভেটেরিনারি অনুষদীয় ছাত্র সমিতি এবং জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ১৩তম বিশ^ জলাতঙ্ক দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। বেলা ১২টায় ভেটেরিনারি হাসপাতালের শিক্ষক, স্টাফ ও ছাত্রছাত্রীদেরকে ফ্রি টিকা প্রদান করা হয়। একই সাথে কুকুরকেও জলাতঙ্কের টিকা প্রদান করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টি ও টিকা প্রদানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরকে জলাতঙ্ক মুক্ত করার লক্ষ্যে সিভাসু বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করার জন্যও পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে বিশে^র প্রায় ১৫০টি দেশে জলাতঙ্ক রোগের বিস্তার রয়েছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে জলাতঙ্ক মুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশকেও জলাতঙ্ক মুক্ত করার লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কর্মসূচি চলমান রয়েছে।