কৃষি সংবাদ ডেস্ক : সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়েছে অপ্রচলিত কৃষিপণ্য হিসেবে নারিকেলের ছোবড়ার আঁশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যে দুটি শর্তে মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। দেশের চাহিদা পূরণ করে এসব পণ্য রফতানি করা হচ্ছে। স্থানীয় কুটিরশিল্প সুরক্ষায় সম্প্রতি এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অব্যাহতি দিয়েছে এনবিআর। স্থানীয় কুটিরশিল্প ও দেশীয় পণ্য রফতানির প্রসারে এ সুবিধা দেয়া হয়েছে। এ অব্যাহতি সুবিধা আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নারিকেলের ছোবড়ার আঁশ থেকে ম্যাট্রেস, ওয়ালম্যাট, পাপোশ, রশিসহ শৌখিন বিভিন্ন পণ্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। নারিকেলের ছোবড়া থেকে প্রস্তুতকৃত এসব পণ্য ১৯৯১ সালের মূসক আইনের প্রথম তফসিলভুক্ত মূসক অব্যাহতি না পাওয়ায় মূসকযোগ্য পণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। মূসক আইনের ধারা ১৪-এর উপধারা (২) অনুযায়ী, নারিকেলের ছোবড়া থেকে প্রস্তুত পণ্যের প্রযোজ্য মূসক সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হলো। শর্তের মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে মূসক আইনের ১৫ ধারা ও বিধিমালার ৯-এর আলোকে মূসক নিবন্ধনপত্র গ্রহণ করতে হবে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে মূসক আইনের ৩১, ৩২ ও ৩৫-এ উল্লিখিত মূসক সংক্রান্ত হিসাবরক্ষণসহ কর চালানপত্র ও দাখিলপত্র দিতে হবে। এ দুটি বিষয়ে আনুষ্ঠানিকতা পরিপালন না করলে অব্যাহতি সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অকার্যকর হয়ে যাবে ও মূসক আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
নারিকেলের ছোবড়া জনপ্রিয় করতে মূসক না নেবার সিদ্ধান্ত
![নারিকেলের ছোবড়া](https://www.krishisongbad.com/wp-content/uploads/2016/02/Coconut-e1511973677920.jpg)