কৃষিতে ব্যবহারিক শিক্ষা গ্রহনকারী শিক্ষার্থীদেরকে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

কৃষিতে ব্যবহারিক শিক্ষা

কৃষক লীগের অনুষ্ঠান

কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ গতকাল ১৯/৪/১৬ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি কাজকে কেউ যাতে খাটো করে দেখতে না পারে, সে লক্ষ্যে কৃষিতে ব্যবহারিক শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদেরকে অতিরিক্ত নম্বর প্রদানের আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে কৃষিতে ব্যবহারিক শিক্ষা দেয়ার জন্য ক্ষেত-খামারে নিয়ে যেতে হবে এবং প্রয়োজনে তাদেরকে অতিরিক্ত ব্যবহারিক নম্বর দিতে হবে যাতে কৃষি শিক্ষাকে কেউ তুচ্ছ করতে না পারে ।
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে জানতে হবে, কি ভাবে কৃষি পণ্য উৎপাদিত হয়। তারা সব সময়ে ঘরে বসে কৃষি পণ্য ভোগ করবে অথচ এ সকল কৃষি পণ্য কোথা থেকে আসে, সে সম্পর্কে তারা কিছুই জানবে না, তা তো হতে পারে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গতকাল বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন এর অডিটোরিয়ামে কৃষক লীগের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এবং বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৫ সালে বিএনপি শাসনামলে সারসহ কৃষি পণ্য বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদকালে ১৮ জন কৃষকের জীবনদানের মর্মান্তিক ঘটনার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, সার চাওয়ায় ১৮ জন কৃষককে হত্যা করা হয়। বিএনপি শাসনামলে ন্যায্য মজুরি দাবি করায় রমজান মাসে ১৭ জন শ্রমিককে খুন করা হয়। কৃষকদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে কৃষক ও কৃষিবান্ধব সরকার হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে খাদ্য উৎপাদনে একটি বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে সময় আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করি। কিন্তু পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকার বাংলাদেশকে আবার খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করে।’
তিনি বলেন, কৃষক ও কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে আওয়ামী লীগ সরকার ভর্তুকি মূল্যে সার, বীজ ও যন্ত্রপাতি প্রদানের মাধ্যমে গত ৭ বছরে বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার ও বিএনপি সরকারের সময়ে সারের জন্য আন্দোলনে নিহত কৃষকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে কৃষক লীগের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সূত্রঃ বাসস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *