ব্যাপক কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,বাকৃবিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস – ২০১৭ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল, ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে রাত ১২:০১ মি. ঈশা খাঁ হল প্রভোস্টের ব্যবস্থাপনায় ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন এবং স্ব-স্ব হল প্রভোস্টের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হলের শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবরের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির ব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবন থেকে শুরু হওয়া প্রভাত ফেরিতে সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, ছাত্র সংগঠন, কর্মকর্তা, কর্মচারী, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয় । প্রভাতফেরি শেষে শহীদ মিনারের পাদদেশে শিক্ষক সমিতির ব্যবস্থাপনায় ভাইস-চ্যান্সেলরসহ সকল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, ছাত্র সংগঠন, অফিসার, কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কর্তৃক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তপক অর্পণ করা হয়। দিবস উদযাপন উপলক্ষে টিএসসি মিনি কনফারেন্স হলে শিক্ষক সমিতির ব্যবস্থাপনায় ‘চেতনায় একুশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ ছোলায়মান আলী ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবর বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড মোঃ জসিমউদ্দিন খান । আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন শিক্ষক সমিতির প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন।
এছাড়া অন্যান্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস, হল এবং আবাসিক এলাকাসমূহে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাণী প্রচার, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাইস্কুল এবং কে বি কলেজের ব্যবস্থাপনায় ২১ ফেব্রুয়ারি স্কুল এবং কলেজ প্রাঙ্গণে ‘চেতনায় একুশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশের কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন শিল্পিরা এবং দুপুরে সকল মসজিদ, মন্দির ও উপাসনালয়সমূহে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস, হল ও আবাসিক ভবনে অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা অবনমন, বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আলোকায়ন এবং সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সংগীতানুষ্ঠান।