বগুড়ার গাবতলীতে মরিচের বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি কৃষক

মরিচের বাম্পার ফলন

মরিচের বাম্পার ফলন

আল আমিন মন্ডল (বগুড়া) থেকে ঃ

বগুড়া গাবতলী উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে সবজি চাষের পাশাপাশি লাভজনক মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা এখন মরিচ পরিচর্যা’য় ব্যস্ত সময় কাঁটাচ্ছেন। উপজেলার কাগইল, নেপালতলী, বালিয়াদিঘী, নশিপুর ও মহিষাবানে কৃষকরা সবজি’সহ লাভজনক মরিচ চাষ করছে। সবচেয়ে বেশী মরিচ চাষ করা হয়েছে বালিয়াদিঘী ও নশিপুর ইউনিয়নে। সুখানপুকুর এলাকার কৃষক তোফাজ্জল হোসেন ও নেপালতলী আমতলীপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুর ও নজরুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে সবজির বাম্পার ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় আমরা লাভজনক ফসল হিসেবে মরিচ চাষ করছি। লাল তীর সীড লিমিটেডের হাইব্রিড সনিক জাত মরিচের চাষ করেছি। ফলন ভাল হয়েছে। কাগইল আহম্মেদপুর গ্রামের কৃষক আজাহার আলী জানান, জমিতে হাইব্রিড সনিক মরিচের ফলন ভাল হয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০থেকে ৪৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল তীর সীড লিমিটেডের ডিভিশনাল ম্যানেজার সাদেকুর রহমান সাদিক, বগুড়া এরিয়া ম্যানেজার আনিছুর রহমান ও মাকেটিং অফিসার জাকির হোসেন জানান, আমাদের হাইব্রিড মরিচ সনিক চাষ করে কৃষকের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের উৎপাদন বাড়লে আয় ও চাহিদা বাড়বে। গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার জানান, উপজেলায় কৃষকরা সবজি চাষের পাশাপাশি ব্যাপক ভাবে মরিচ চাষ করেছে। এ মৌসুমে উপজেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৫শ হেক্টর জমিতে। চাষ করা হয়েছে ৪শ ৫০হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উপসী জাতের মরিচ ১শ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করা হয়েছে ৩শ ৫০হেক্টর জমিতে। এখন কৃষকরা মরিচ ক্ষেতে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় কাঁটাচ্ছেন। দাম ও ফলন ভাল পাবে এমনটাই আশা করছেন কৃষকরা। গাবতলী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহেদুর রহমান জাহিদ, জাহাঙ্গীর আলম, এনামুল হক ও শাহাদৎ হোসেন জানান, মরিচ চাষে কৃষকদের পরিশ্রম একটু বেশী। তবে ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটবে হাসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *