ইন্টার্ণি করতে চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকদিন

চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি

চট্টগ্রাম ভেরেনিয়ারি
মোস্তাফিজুর রহমান ও মফিজুল ইসলাম রিয়াদ,চট্টগ্রাম থেকেঃ

ভেটেরিনারি চিকিৎসার অন্যতম মাইলফলক চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়।   প্রতিদিন  যেখানে শত শত প্রাণি আসে চিকিৎসার জন্য। শিক্ষার্থীদের শেখার বিস্তর জায়গা এখানে।  ইন্টার্ণি কোর্সের অংশ হিসেবে আমরা হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ইন্টার্ণি ভেটেরিনারি ডাক্তার কয়েকদিন হল এসেছি এখানে। ৬ মাসের ইন্টার্ণি সময়ে নিজের অর্জিত জ্ঞানের আলোকে তার প্রয়োগ করার উপযুক্ত স্থান সমুহে নির্ধারণ করা হয় ইন্টার্ণি করার প্রতিষ্ঠান। সেই দিক থেকে উপযুক্ত চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স বিস্ববিদ্যালয়ের শহেদুল আলম কাদেরী টিচিং ভেটেরিনারি হাসপাতাল। থাকবো ২ সপ্তাহ। বাংলাদেশের প্রাণি চিকিৎসায় পরীক্ষা নিরিক্ষার উপযুক্ত স্থান এটি। উন্নত পরিবেশে মান সম্মত সেবা প্রদান করা হয়। এখানে বর প্রাণির জন্য একটা ইউনিট এবং ছোট প্রাণির জন্য আলাদা আলাদা ইউনিট রয়েছে। বড় প্রাণির বিভাগের মধ্যে গরু, ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া, হাতী, মহিষ এগুলোর চিকিৎসা করা হয়। অন্যদিকে ছোট প্রাণি শাখায় পোল্ট্রি প্রজাতির মধ্যে মুরগী, কবুতর, হাস, বিভিন্ন প্রসাধনী পাখি, বিড়াল, কুকুর, খরগোশ সহ অনান্য ছোট বন্য প্রানীর চিকিৎসা করা হচ্ছে।
আমরা ১৪ জন গ্রুপের ২ ভাগ হয়ে ছোট ও বড় প্রাণির শাখায় প্রাণির চিকিৎসা করা দেখছি, কর্তব্যরত স্যারেরা আমাদের বিভিন্ন রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা প্রদান থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ শেখাচ্ছেন। সেইদিন একটা ছাগলের পা ভেজ্ঞে যাওয়ায় চিকিৎসার আগে এক্স রে করে নিশ্চিত হয়ে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। গরুর বিড়ালের উন্নত চিকিৎসার জন্য আল্ড্রাসাউন্ড এবং পরীক্ষাগারে বিভিন্ন রক্ত, প্রস্রাব ও মল পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করা হয়। মাঝে মাঝে আমরা প্রেস্ক্রিপশন লিখছি, শিরায় ইঞ্জেকশন ও স্যালাইন প্রয়োগ করে নিজেদের অভিজ্ঞ ডাক্তার হওয়ার চেষ্টা করছি। পোট্রির পোষ্ট মর্টেম পরীক্ষা করে রোগ নিশ্চিত হয়ে সেই রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে। এখানে সপ্তাহে ২ দিন ভ্রাম্যমাণ প্রাণি চিকিৎসা সেবার জন্য বাইরে যাওয়া হয়। আমরা কয়েকজন মিলে সেই সেবা দিতে গিয়েছিলাম। এখানে বিভিন্ন সার্জারিতে আমরা থাকি, থেকে সার্জন স্যারের সাথে কাজ করি। কঠিন রোগের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়।
ছোট এনিমেল শাখার দ্বায়ীত্বে থাকা মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা: প্রণব পাল বলেন, আন্তরিকতা এবং পরিশ্রম ভেটেরিনারি চিকিতসা বাংলাদেশে সুনাম বয়ে আনবে। মানুষের মধ্যে পোষা পাণির চাহিদা বেড়েছে পাশাপাশি তাদের রোধ প্রতিরোধের জন্য টিকা গ্রহণের প্রবনতা বেড়েছে। কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ এখানে এমন উন্নত ব্যবস্থা রাখার জন্য। এস এ কাদেরী চিটিং ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক সার্জারি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা: ভজন চন্দ্র দাস বলেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখানে ইন্টার্ণি করতে আসাই আমরা আনন্দিত। জ্ঞানের প্রসারের এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমে জ্ঞানের ভাগাভাগীর মাধ্যমে আমাদের ভেটেরিনারি পেশা এগিয়ে যাবে। এখানে যেমন ব্যবস্থাপনা আছে তা থেকে তোমরা ভালভাবে শিক্ষা গ্রহণ করে সারাদেশের মানুষকে উত্তম সেবা প্রদান করবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি এর পেশার ব্যপক উন্নতি সাধণ করা সম্ভব। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি ছাত্রছাত্রীদের জন্য এমন টিচিং হাসপাতাল প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *