কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (১৪ মার্চ-২০১৭) ঃ
বার্ষিক মাথাপিছু দৈনিক ১২০ গ্রাম মাংসের মধ্যে আমরা পাচ্ছি ১০৬ গ্রাম আর দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি ১২৬ মিলিলিটার । বার্ষিক মাথাপিছু ১০৪টি ডিমের চাহিদার বিপরীতে আমরা ৭৫টি করে ডিম পাচ্ছি। উৎপাদন পূর্বের তুলনায় বহুগুনে বাড়লেও এখনও অনেক ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি পূরণে উৎপাদন আরও বাড়াতে হলে এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী গ্রাজুয়েটগণের ভূমিকা রাখতে হবে। প্রাণির আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক লালন-পালন, আরও নতুন নতুন প্রজাতি ও প্রযুক্তি তাদের উদ্ভাবন করতে হবে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ-২০১৭) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী ডে -২০১৭’পালন উপলক্ষে পশুপালন অনুষদ আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানান বক্তারা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড.মো. আলী আকবর । এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. জসিমউদ্দিন খান ও আমেরিকান ডেইরি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. হাসানুল এ. হাসান । বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যানিমেল হ্যাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন ও মহাসচিব আবু সাইদ কামাল বাচ্চু, প্রফেসর ড. মোঃ রুহুল আমিন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মুজাফফর হোসেন
দিবসটি পালন উপলক্ষে সকালে পশুপালন অনুষদ থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।