বাকৃবি প্রতিনিধি
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দলীয় কার্যালয় দখল নিয়ে ছাত্রফ্রন্টের দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন আহত হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে ছাত্রফ্রন্টের দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বাসদ পক্ষের কর্মীরা জব্বারের মোড়ে সকালের নাস্তা করতে আসলে ছাত্রফ্রন্টের কার্যালয়ে অবস্থানরত বাসদ মার্কসবাদী কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। বাসদের তিনজনকে কার্যালয়ের চত্বরে ধরে নেওয়া হয় ও মারধর করা হয়। তিনজনের মধ্যে দুইজন বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় তবে দলটির সভাপতি দাবি করেন তারা আঞ্চলিক সম্মেলনের জন্য ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। এসময় মার্কসবাদীর দুই কর্মীও আহত হয়।
পরে বাসদের তিনজনকে প্রশাসনের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বাকৃবি শাখা বাসদ মার্কসবাদীর সভাপতি রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, গ্রন্থাগারের জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষে তালা ভাঙার চেষ্টা করে। পরে আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করতে গেলে কয়েকজন আহত হয়। এ বিষয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগও করা হয়।
এ বিষয়ে বাকৃবি শাখা বাসদের সভাপতি সৌরভ দাস বলেন, কয়েকজন কর্মী সকালে নাস্তা করতে গেলে তারা হামলার শিকার হয়। গতকাল প্রশাসন গ্রন্থাগারের জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষে তালা দিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে আমরা মেনে নেই।
এ বিষয়ে প্রক্টর এ কে এম জাকির হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসকল ছাত্র ঘটনার সাথে জড়িত নিয়মানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা সবাইকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।
উল্লেখ্য যে, ছাত্রফ্রন্টের দুই দলই একই নাম ব্যবহার করেন। তবে চার বছর আগে বিভাজনের সময় একটি পক্ষ বাসদ মার্ক্সবাদী এবং অপরটি বাসদ। ২০১৩ সালে বিভক্তির পর থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রফ্রন্টের কার্যালয় থেকে বাসদের নেতা-কর্মীদের বের করে দেন বাসদ মার্ক্সবাদীরা। গত চার বছর ধরে মার্ক্সবাদীরাই কার্যালয়টি ব্যবহার করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যালয় দখল নিয়ে বাকৃবি ছাত্রফ্রন্টের দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে লাঠিসোঠা নিয়ে দুই দলের মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের উপস্থিতিতেই মাঝে মাঝেই দুইদল বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে কার্যালয় সিলগালা করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
******************