বন্যার্তদের পাশে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বৃহত্তর রংপুর সমিতি

বন্যার্তদের পাশে

বন্যার্তদের পাশে

মো. আউয়াল মিয়া:
কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত এলাকার ২০০ পরিবারের মাঝে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল ও ৩০০ টাকা করে মোট ২ লক্ষের টাকার ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়। গত শুক্রবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বৃহত্তর রংপুর সমিতির উদ্যোগ এই ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়।
বাকৃবি বৃহত্তর রংপুর সমিতির সভাপতি প্রফেসর আ.খ. ম.গোলাম সারওয়ার ও সাধারণ সম্পাদকের সহযোগী প্রফেসর এ.এইম.এম. সাইফুল ইসলামের নেতৃতে ¡ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে প্রফেসর ড. আজহারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মো. মারুফ হাসান ও সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল মাজেম সরকার, খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদসহ মো. হাসান আলী সার্বিক সহায়তা করেন।
উল্লেখ্য, নিজেদের ভ্রাতৃত্ত্ববোধ ও সমস্যা সমাধানে বৃহত্তর রংপুর সমিতি রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলা নিয়ে গঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় বৃহত্তর রংপুর সমিতি ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করে।

বাকৃবিতে বেগম রোকেয়া হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নতুন ছাত্রী হল বেগম রোকেয়া হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর ওই হলের ফলক উন্মোচন করে উদ্বোধন করেন। এরপর হলের প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ করেন তিনি।
বেগম রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন । এছাড়াও এতে বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, ওই হলের হাউজ টিউটরবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর মধ্যে এই হলটিই সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন হল। দুই কমপ্লেক্স বিশিষ্ট ওই হলের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ছাত্রীদের সুলতানা রাজিয়া অ্যানেক্সকে বর্তমানে এই হলের সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। অ্যানেক্সের ভবনের অবস্থা করুণ হওয়ায় সেটার সংস্কার কাজও চলছে।

কৃষি অর্থনীতি অনুষদের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বি.সি.এস.) কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের অধীনে প্রত্যেক উপজেলায় সহকারী পরিচালক পদ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকুরির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মঙ্গলবার কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে। বেলা ১২টার অনুষদীয় ভবনের সম্মুখে ওই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কদ্দুছসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ ছাত্রছাত্রীরা বক্তব্য রাখেন।
এতে বক্তারা জানান, সরকারী বহু প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কৃষি অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক সম্পন্নকারী আবেদন করতে পারছে না। বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের অধীনে প্রত্যেক উপজেলায় সহকারী পরিচালক পদ সৃষ্টি, শিক্ষা ক্যাডারে অর্থনীতি প্রভাষক পদে অর্থনীতির গ্র্যাজুয়েটদের সাথে কৃষি অর্থনীতির শিক্ষার্থীদের নিয়োগ প্রদান, নন-ক্যাডার ‘পরিসংখ্যান কর্মকর্তা’ পদে নিয়োগ, সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বারি, বিনা, বিএফআরআই, বিএলআরআই, বিএডিসি প্রভৃতি) কৃষি অর্র্থনীতিবিদদের জন্য আলাদা পদ সৃষ্টি ও চাকুরির সুযোগ দেওয়া, বিসিএস নন-ক্যাডার “সমাজসেবা কর্মকর্তা” পদে সুযোগ দেওয়া, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে গবেষণা ও মূল্যায়ন পদ সৃষ্টি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (গবেষণা ও পরিসংখ্যান) পদে ‘অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান’ স্নাতকদের পাশাপাশি কৃষি অর্থনীতি স্নাতকধারীদের সুযোগ দেওয়া, বেসরকারী ব্যাংকে সুযোগ সৃষ্টিসহ অতিদ্রুত ইর্ন্টানসিপ চালু করতে হবে। তারা আরো জানান যে, অবিলম্বে এসব দাবি না মানা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
পরে উপাচার্য বরাবর ১৪ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *