হাবিপ্রবির প্রথম কোষাধ্যক্ষ পদে প্রফেসর ড.বিধান চন্দ্র হালদার এর নিয়োগ লাভ

হাবিপ্রবির প্রথম কোষাধ্যক্ষ

হাবিপ্রবির প্রথম কোষাধ্যক্ষ

আব্দুল মান্নান,হাবিপ্রবিঃ

হাবিপ্রবির প্রথম কোষাধ্যক্ষ

মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মো. আব্দুল হামিদ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ,২০০১-এর ধারা ১৩(১) অনুযায়ী উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার-কে  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কোষাধ্যক্ষ হিসেবে  নিয়োগ প্রদান করেছেন। গত ৩০ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়। তিনি ৩১ জুলাই ২০১৮ তারিখে যোগদান করেন এবং পরবর্তী চার বছরের জন্য তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন। অফিসিয়ালি যোগদানের পর আজকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন ও অনুষদের পক্ষ হতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে ।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,হ্যা নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে আমি একটি চিঠি পেয়েছি । চিঠি পাওয়ার পর গতকাল আমি অফিসিয়ালি যোগদান করেছি ।দায়িত্ব পাওয়ার অনুভুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছি মহান সৃষ্টিকর্তাকে, এরপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সাহেব সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে,আমাকে এতবড়  গুরুদায়িত্ব প্রদানের জন্য । আমাকে যে  দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে তা যেন যথাযথভাবে পালন করতে পারি, সে জন্য  আমি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি ।

উল্লেখ্য যে,অধ্যাপক ডঃ বিধান চন্দ্র হালদার নড়াইল জেলার সদর উপজেলায় ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহন করে ১৯৭৮ ও ১৯৮০ তে যথাক্রমে প্রথম শ্রেণীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন । ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহ হতে  প্রথম শ্রেণীতে  অনার্স এবং ১৯৮৭ সালে উদ্যানতত্ত্ব বিভাগে  প্রথম শ্রেণীতে  মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ১৯৮৮-৯২ সাল পর্যন্ত তিনি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পটুয়াখালী কৃষি কলেজ) প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি  ১৯৯২ সালের ২৬ শে মে দিনাজপুরের  হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন । পরে ১৯৯৬ সালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(তৎকালীন হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজে) এ সহকারী অধ্যাপক , ২০০৪ সালে সহযোগী অধ্যাপক ,২০০৮ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদন্নোতি লাভ করেন।এবং ২০১০ সালে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন । ১৭টির মত বিভিন্ন প্রকাশনা ছাড়াও তার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিঃপরীক্ষক সহ দেশে-বিদেশের বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ ও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *