‘পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া চাষের মানোন্নয়নে ভ্যালু চেইন’শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

ডারউইনের জীবাশ্ম থিওরী ভুল

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি থেকে:
গরীবের মাছ বলে খ্যাত পাঙ্গাস ও তেলাপিয়াকে বাঁচাতে হবে । এ মাছের উৎপাদন বাড়ার সাথে সাথে দাম কমে যাচ্ছে। Telapia-Valu-Chainএ থেকে আমাদের খামারীদের রক্ষা করতে হবে। আমাদের উৎপাদিত মাছের শতকরা ৫৫ ভাগ আসে পুকুর ও মৎস্য খামার থেকে, ২৫ শতাংশ নদী-নালা ও বাকী ২০ ভাগ সমুদ্র থেকে আহড়িত হয়। দেশে বর্তমানে মাছ উৎপাদন প্রায় ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন যা আমাদের নিজস্ব প্রয়োজনের অতিরিক্ত। এখন আমাদের পাঙ্গাস ও তেলাপিয়াকে রপ্তানীযোগ্য করতে এর উৎপাদনে সঠিক ও আধুনিক মানোন্নয়ন ঘটাতে হবে বলে কর্মশালায় উপস্থিত বিজ্ঞানীরা মতামত ব্যক্ত করেন।বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া চাষের মানোন্নয়নে ভ্যালু চেইন ইন বাংলাদেশ ’শীর্ষক দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছের চাষ পদ্ধতির আধুনিকায়ন করা, মাছের উৎপাদন খরচ কমানো, মোট উৎপাদন বৃদ্ধি,অরুচিকর গন্ধ দূর করে রুচিকর সুগন্ধযুক্ত সুস্বাদু, লাভবান ও রপ্তানিযোগ্য করতে সোমবার (৯ জানুয়ারি-২০১৭) সকাল ১১ টার দিকে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে ডেনিস ইন্টান্যাশন্যাল ডেভেলোপমেন্ট এজেন্সির (ড্যানিডা) অর্থায়নে ব্যাংফিস ওয়ার্ক প্যাকেজ-৩ কর্মশালা আয়োজন করে।
কর্মশালায় ব্যাংফিস ওর্য়াক প্যাকেজ-৩ এর টিম প্রধান অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তী।বিশেষ অতিথি হিসেবে হিসেবে ছিলেন, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুছ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহা-পরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বািবদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর মোঃ সাইদুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বািবদ্যালয়ের প্রফেসর সুলতান মাহমুদ ও প্রফেসর বদিউজ্জামান।
বাংলাদেশে পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছের আধুনিকায়নের জন্য চার বছর মেয়াদি প্রকল্পের অংশ এটি। এর পূর্বে এ বিষয়ে আরো দুটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ১২জন শিক্ষার্থীকে স্নাতকত্তোর ও ৬ জন শিক্ষার্থীকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
কর্মশালায় বক্তার বলেন, পাঙ্গাস ও তেলাপিয়ার ক্রেতা দেশের সকল মহল যখন প্রথম আমাদের দেশে প্রজাতি দুটি ব্যাপ্তি ঘটে তখন চাহিদা ও মূল্য অনেক বেশি ছিলো। কিন্তু ক্রমেই তার বাজার আজ বিভিন্ন কারণে ধসের মুখে। পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া চাষে কম শ্রমিক ও কম খরচ প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন আমাদের খামারীরা বেশী মুনাফা লাভের আশায় তাদের পুকুরে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মাছ ছাড়ছে। যেখানে প্রতি শতাংশ জমিতে ১০ গ্রাম ওজনের ২৫০টি পোনা ছাড়ার কথা তারা ছড়ছে ৮০০ থেকে ১২০০টি । ফলে পুকুরে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার দিতে হচ্ছে। অতিরিক্ত খাবারের কারণে পুকুরের পানিতে সবুজ প্লাংটন তৈরী হচ্ছে। যার কারণে মাছের বর্ণ, স্বাদ গন্ধ সবই নষ্ট হচ্ছে। মানুষ পাঙ্গসের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। চিংড়ির পরেই পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া এ দুটি মাছ বিদেশে রপ্তানির জন্য অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রকল্পের আওয়তায় বিষয়টি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি),পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বািবদ্যালয়ের শিক্ষক,আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

2 thoughts on “‘পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া চাষের মানোন্নয়নে ভ্যালু চেইন’শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

  1. Taj May 15, 2017 at 2:01 pm

    Hi it’s me, I am also visiting this web page on a regular basis,
    this web page is truly pleasant and the users are really sharing fastidious thoughts.

    Reply
  2. krishisongbad May 10, 2018 at 9:25 pm

    Thank you for your nice comment. Please stay with us

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *