কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ
অতিথি পাখির কলরবে
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার লালচান্দ চা বাগানে রয়েছে ছোট-বড় কয়েকটি লেক। চারদিকে সুনশান নীরবতা। এসব জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্মে প্রচুর ছোট মাছ। এখানে খাদ্যের পাশাপাশি নিরাপত্তাও রয়েছে বেশ। এ কারণে অতিথি পাখিদের খুব পছন্দের এলাকা এটি। শীতপ্রধান দেশ থেকে এখানে আসে হাজার হাজার অতিথি পাখি। শীত শেষে তারা ফিরে যায় নিজ নিজ দেশে। প্রতি বছরের মতো এবারও শীতের শুরুতে হাজার হাজার অতিথি পাখি এসেছে এখানে। এদের কলরবে মুখর পুরো এলাকা।
এ বাগানের বাসিন্দা প্রকৃতিপ্রেমী ডা. অক্ষয় কুমার বাবুল বলেন, লেকগুলোয় প্রচুর লাল শাপলা ফুটেছে। এসেছে হাজার হাজার অতিথি পাখি। এগুলোর কিচিরমিচির শব্দে স্থানীয় লোকদের ঘুম ভাঙে। এগুলো পানিতে ডুবসাঁতার খেলছে। সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে এক মনোরম দৃশ্য, যা দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১০ থেকে ১২ বছর আগে এখানে প্রথম অতিথি পাখি আসে। এর পর প্রতি বছরই আসে এ পাখি। তিনি বলেন, লেকের পাড়ে নীরবে বসে থাকলে পাখির কিচিরমিচির শব্দ শোনা যাবে। তবে লোকজনের আভাস পেলেই পাখি উড়ে যায়। বাগান কর্তৃপক্ষ জানায়, লেকগুলোতে অতিথি পাখি আসে শীত মৌসুমে। এখানের পাখি শিকার করা হয় না। তবে কেউ যাতে পাখিদের বিরক্ত না করতে পারে, সে ব্যাপারে তারা সজাগ রয়েছেন। যে কোনো স্থান থেকে শায়েস্তাগঞ্জ অথবা সুতাং এসে সিএনজি অটোরিকশা কিংবা বেবি ট্যাক্সি যােগে লাদিয়া তেঁতুলতলায় যেতে হয়। সেখান থেকে ১ কিলোমিটার দূরেই লেকগুলো। পরিবেশপ্রেমিকদের দাবি, অতিথি পাখি রক্ষায় এখানে একটি তথ্যসেবা কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আশারাফ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, অতিথি পাখি শীত নিবারণের জন্য অসহায় অবস্থায় আমাদের দেশে আসে। এরা সাধারণত লেক (ঝিল) ও বিলে মধ্যে বসবাস করে। তবে সব বিল ও ঝিলে বসবাস করে না। কারণ তারা নীরব স্থান খুঁজে পেলেই অবস্থান নেয়। এ জেলায় ঝিলের সংখ্যা প্রায় ২১টি, আর সরকারি আর বিল রয়েছে ৬৭৫টি। এগুলোতে প্রচুর মাছ জন্মে।
জেলা প্রাণী বিভাগ জানায়, অতিথি পাখি মারা যাবে না। এটি আইনি অপরাধ। এগুলোকে আমরা বিরক্ত করব না। এরা যাতে সুস্থভাবে থাকতে পারে, সেদিকে সবার নজর রাখা প্রয়োজন। আলোকিত বাংলাদশে
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম