কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ
সিরাজগঞ্জ সদরের চর এলাকায় ভুট্রার আবাদ শুরু করেছে যমুনার চর এলাকার মানুষ। যেসব এলাকা নতুন করে জেগে উঠেছে সেসব এলাকা দীর্ঘদিন থেকে পতিত হিসেবে পড়ে থাকত। কিন্তু এ বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিরাজগঞ্জ সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ রোস্তম আলী পতিত জমি গুলো আবাদের আওতায় এনেছেন। তিনি রাজস্বখাতের অর্থায়নে, এনএটিপি-২ প্রকল্প, কৃষি প্রণোদনা ও পুর্নবাসন কর্মসূচীর আওতায় চরাঞ্চলের পতিত জমিগুলো ভুট্রা আবাদ এর আওতায় আনার জন্য উপ সহকারী কৃষি অফিসারদের নির্দেশ প্রদান করেন। উপ সহকারী কৃষি অফিসারগণ আবাদ যোগ্য চর নির্বাচন করে জন প্রতিনিধিদের সহায়তায় কৃষক নির্বাচন করেন এবং কৃষি অফিস থেকে কৃষককে বীজ, সার, বালাইনাশক ও আন্তঃ পরিচর্যা বাবদ নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
যেসব চর এবার ভুট্রা আবাদের আওতায় এসেছে সেগুলো হলো ছোটপিয়ারী, মাটিকোরা, খারুয়া, সাচালিয়া, কৈগারী দোরতা, হাটবয়রা, সয়াশেখা, ভুতমা ইত্যাদি। বর্তমানে যমুনার চরে যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই ভুট্রা ক্ষেত চোখে পড়ে। ভূট্রার ফলন ভাল হওয়া এবং বাজার দাম ভাল পাওয়ায় আগামীতে ভুট্রার আবাদ বৃদ্ধি পাবে। রাজস্ব প্রকল্পের অর্থায়নে প্রদর্শনী ভুক্ত চাষী মোঃ দেলশাদ আলী জানান, যমুনার নদীভাঙার পর এখানে চর জেগে ওঠে, দীর্ঘদিন ধরে জমতিে কোন ফসল হয় না। কৃষি অফসিরে পরামর্শে, প্রদর্শনী, সার, বীজ, নগদ অর্থ,দিক নির্দেশনা চাষাবাদরে কলা কৌশল ও প্রশক্ষিণরে মাধ্যমে কৃষকরো ভুট্টা চাষ শুরু করি। ভুট্টার আবাদে অন্যান্য ফসলরে তুলনায় খরচ কম। পোকামাকড়রে আক্রমণ তমেন না থাকায়, সচে ব্যবহার তমেন প্রয়োজন হয় না এবং বাজারে ভাল দাম পাওয়ায় এলাকায় অধিকাংশ চরাঞ্চলরে কৃষক ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়ছে।উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, এ বছর ৬৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্রার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০০ হেক্টর বেশি।