কৃষিসংবাদ ডেস্কঃ
আলু চাষিদের –
বেশি দামে আলু বিক্রি করতে পারায় কালাইয়ের আলু চাষিরা বেশ খুশি। তাদের মুখে দেখা যাচ্ছে হাসির ঝিলিক। আমন চাষ করে কৃষকরা বিঘা প্রতি অন্তত ২ হাজার টাকা লোকসান গুনেছিলেন। সেই লোকসান কাটিয়ে উঠতে চাষিরা আলু চাষে মন দেয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কম সময়েই আলুর ভালো ফলন পাচ্ছেন চাষিরা। তাই উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে বর্তমানে আলু চাষিদের বিঘা প্রতি লাভ টিকছে ১৬ হাজার টাকা।
জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার আহম্মেদাবাদ, মাত্রাই, উদয়পুর, পুনট ও জিন্দারপুর ইউনিয়নের আলু চাষিরা আগেভাগেই দ্রুত বর্ধনশীল জাতের গ্রানোলা, লরা, ক্যারেজ, রোমানা ও ফাটা পাকরি আলু তুলে বিক্রি করছেন। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে বেশি লাভ পাওয়ায় খুশি আলু চাষিরা। এসব আলু চাষ করতে প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে বীজ, জমি চাষ, সার, ওষুধ, সেচ, নিড়ানো ও বাঁধাই, আলু উত্তোলনসহ সবমিলে চাষিদের উৎপাদন খরচ হয়েছে গড়ে ১৪ হাজার টাকা। প্রতি শতকে ফলন পাচ্ছেন ৪০ থেকে ৫০ কেজি হারে প্রতি বিঘায় ৩৩ থেকে ৪২ মণ পর্যন্ত। চাষিরা বর্তমানে প্রতি মণ আলু সাড়ে ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা দরে বিক্রি করে বিঘা প্রতি দাম পাচ্ছেন ৩০ হাজার টাকা। ফলে সব খরচ বাদ দিয়ে আলুর জাত ভেদে বিঘা প্রতি চাষিদের লাভ থাকছে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা।
কালাই কাজীপাড়া মহল্লার আলু চাষি আজাদ জানান, আমন ধান চাষ করে বিঘা প্রতি তাকে দেড় হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়েছিল। আশা ছিল আলু চাষ করে সেই লোকসান ঘুচবে। ঠিক তাই হয়েছে। আলুর দাম ভালো থাকায় গ্রানোলা জাতের ৩ বিঘা জমির আলু তুলে তিনি ফলন পেয়েছেন ১শ’ ২৬ মণ। সাড়ে ৮শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি করে দাম পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে তার লাভ টিকেছে ৫০ হাজার টাকা। ।ইত্তেফাক।
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম