সফলতার গল্পঃ দুধ বিক্রি করতে না পারা খামারি এখন প্রতিদিন দুধ ও দুগ্ধজাত পন্য বিক্রি করেন ৫০ হাজার টাকার

দুধ ও পন্য বিক্রি করেন ৫০ হাজার টাকার

দুধ ও পন্য বিক্রি করেন ৫০ হাজার টাকার

শাহ এমরানঃ

কথাটা অবিশ্বাস্য মনে হবে, হ্যা আমার কাছেও তেমনি মনে হয়েছিল শুনে, USAID এর একটি আর্টিকেলে সাতক্ষীরার Kamrul Hasan ভাইকে নিয়ে এমনই একটি রিপোর্ট পাবলিশ করলো। মেধা, শ্রম, একাগ্রতা সফলতার কোথায় নিয়ে যেতে মাত্র এক বছরে কামরুল ভাইএর প্রকৃত দৃষ্টান্ত।

এই ভদ্রলোক দুধ বিক্রি করতে পারতেন না, তার উপর দাম ৩০-৩৫ টাকা লিটার দাম এলাকায়। কত দুঃখ কষ্ট আর আক্ষেপ দেখেছি এই খামারির চোখে আর ভাষায় তা আমি খুব কাছ থেকেই জানি। জীবন যুদ্ধে হেরে যায়নি, ইংল্যান্ড থেকে ল’ বিষয়ে পড়াশুনা করে শেষ মেষ হেরে যাবেন এটা একজন শিক্ষিত ছেলে হয়ে মেনে নেয়া কষ্টকরই ছিল। প্রতিদিন ওনি লেখাপড়া করতেন ডেইরি নিয়ে। আমি অনেক কিছু শিখেছি এই ভদ্রলোকের কাছ থেকে যা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

শুধুমাত্র ওনার মেধা, শ্রম আর বিচক্ষনতার কারনে আজ দুগ্ধ খামারের পাশপাশি গড়ে তোলেন দুগ্ধপন্য তৈরীর কারখানা। গুনগত মান এবং উপস্থাপন তার Jayhoun Dairy Farm কে অন্যদের থেকে আলাদাভাবেই উপস্থাপন করেছে। যে ভদ্রলোক আগে ৫০ লিটার দুধ বিক্রি করতে পারতো না, তার আজ প্রতিদিনের দুধের চাহিদা ৫০০ কেজি এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে কথা তা হলো, ওনি নিজে শিখেছেন কিভাবে এই মিষ্টি, ছানা, পনির, লাবাং, ঘি পন্য তৈরী করতে হয়। কোন কারিগরের উপর তিনি নির্ভরশীল নন।

আমাদের সফলতার গল্প অনেক কম, হতে পারে তা মেধা, শিক্ষা ও একাগ্রতার ব্যক্তি বিশেষের অভাবে কিন্তু চেস্টা করলে সম্ভব না এমন কিছু নেই। যেকোন কাজ শুরু আগে অনেক অনেক লেখাপড়া, আলোচনা করে উদ্যোগী হলে বিফল হবার সম্ভাবনা খুবই কমই।

====
লেখকঃ একজন সফল খামারী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *