গাছের চারা উপহার
শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরে নকলায় জন্ম দিনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী গাছের চারা উপহার দিয়ে নজর কেড়েছেন উপজেলার দুই সাংবাদিক। জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের সৌজন্যে নকলা পৌর শহরের গ্রীণ রোড মহল্লায় বসবাসকারী এক সাংবাদিক স্ত্রীর জন্ম দিবসের তথ্য পেয়ে ৯ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যার দিকে জন্ম দিনে ফুল, ফল ও ঔষুধি জাতের ৯টি গাছের চারা উপহার দিয়ে পরিবারে উপস্থিত সকল সদস্যদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এশিয়ান টিভির সাংবাদিক খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টু ও চাষী সেবা পোর্টাল পেপারের সম্পাদক-প্রকাশক জিয়াউল হক জুয়েল।
বিভিন্ন জাতের ৯ টি চারা উপহার দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গাছের চারা উপহার দাতারা জানান, ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর নকলা হানাদার মুক্ত হয়, এই দিনে জন্ম দিবস হওয়ায় এই দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য তাঁরা ৯টি চারা নিয়ে বিনা দাওয়াতে এ জন্ম দিনে উপস্থিত হয়েছেন।
জিয়াউল হক জুয়েল বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে জন্ম দিবস পালন করা ঠিক না। তবুও দেশে প্রতিদিন হাজার হাজার জন্ম দিবস ঘটা করে পালন করা হয়, ব্যয় করা হয় লাখ লাখ টাকা। আর প্রতিটি জন্ম দিনের অনুষ্ঠানে অতিথিরা বিভিন্ন উপহার সামগ্রী নিয়ে হাজির হন। ওইসব উপহার সামগ্রী ব্যবহারের ফলে দিন দিন নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু চারা দিন দিন বড় হয় এবং কোন একদিন বেশ টাকার সম্পদ হয়ে উঠে। পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই তাঁরা মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে এমন অভিনব উপহার নিয়ে জন্ম দিনের দাওয়াতে হাজির হয়েছেন।
এবিষয়ে খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টু বলেন, দেশে প্রতিদিন যে পরিমাণ জন্ম দিবস আনুষ্ঠানিক ভাবে পালন করা হয়, প্রতিটি অনুষ্ঠানে যদি অতিথিরা দৈনন্দিন ব্যবহার্য উপহার সামগ্রী না নিয়ে বরং কাঠ, ফুল, ফল ও ঔষুধি জাতের চারা উপহার দিতেন; তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা ও নদী ভাঙনের মতো অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিছুটা হলেও কমতো। পক্ষান্তরে এককালীন আসতো বেশ টাকা, বাড়িতে মানুষের সুখ ও শান্তি। তাই জন্ম দিনের অনুষ্ঠানসহ যে কোন অনুষ্ঠানে দৈনন্দিন ব্যবহার্য উপহার সামগ্রী না নিয়ে বরং কাঠ, ফুল, ফল ও ঔষুধি জাতের গাছের চারা উপহার দিতে সকলের প্রতি আহবান জানান তাঁরা।