প্রথমবার এআইপি পদক প্রদান: আবেগে আপ্লুত ও অভিভূত সম্মাননাপ্রাপ্ত ১৩জন

প্রথমবার এআইপি পদক

কৃষি সংবাদ ডেস্ক:

প্রথমবার এআইপি পদক :কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রথমবারের মতো ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি)’-২০২০ সম্মাননা পেয়েছেন ১৩জন। কৃষিকাজ করে এরকম জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়ায় অভিভূত ও আবেগে আপ্লুত হয়েছেন সম্মাননা প্রাপ্তগণ।  

বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রদান করা হয়।কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সম্মাননা প্রদান করেন।

এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষির সাফল্যের অন্যতম কারিগর দেশের কৃষক, কৃষিবিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, খামারিসহ কৃষির সাথে সম্পৃক্তদেরকে প্রতি বৎসর  সম্মাননা জানানোর জন্য এআইপি একটি মহৎ উদ্যোগ। কৃষকদের সম্মান জানানোর জন্য এটি একটি নতুন উদাহরণ। এআইপি সম্মাননা প্রবর্তন কৃষিখাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।  এর ফলে কৃষি পেশার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে। 

মন্ত্রী বলেন, এআইপি সম্মাননা দিয়ে আমরা কৃষকসহ কৃষির সাথে সম্পৃক্তদেরকে সম্মানিত করেছি, নিজেকে সম্মানিত করেছি এবং সেইসাথে জাতিকেও সম্মানিত করেছি। আগামী দিনের কৃষিকে আমরা বাণিজ্যিক ও সম্মানজনক পেশা হিসাবে উন্নীত করতে চাই। কৃষিতে শিক্ষিত, মেধাবী ও সৃজনশীল তরুণদের আকৃষ্ট করতে চাই। এ সম্মাননা এক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

 উল্লেখ্য, সরকার দেশে কৃষির সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, খামারিসহ কৃষির সাথে সম্পৃক্তদেরকে প্রতি বৎসর সম্মাননা জানাতে ও তাদেরকে উৎসাহিত করতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রদানের জন্য ২০১৯ সালে এআইপি নীতিমালা প্রণয়ন করে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সালের সম্মাননা আজ প্রদান করা হলো। এআইপি সম্মাননা প্রাপ্তগণ সিআইপিদের মতো সুযোগসুবিধা পাবেন।

বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বিভাগে  এআইপি সম্মাননা প্রাপ্ত মোছা. নুরুন্নাহার বেগম অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, কৃষিকাজ করে এতো বড় সম্মান পাওয়া যাবে আমরা কল্পনাও করি নি। আমাকে কেউ ১০ লাখ টাকা দেক, আমি তা চাই না। কিন্তু এ সম্মাননা অনেক বড় পাওয়া। তিনি বলেন, মাটিকে ঘুষ দেয়া লাগে না। মাটির সাথে পরিশ্রম করলে, মাটি আমাদের সাথে কথা বলে। আমাদের মতো কৃষককে এতো বড় সম্মাননা দেয়ায়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

এআইপি সম্মাননাপ্রাপ্ত বিছমিল্লাহ মৎস্য বীজ উৎপাদন কেন্দ্র ও খামারের মো. সামছুদ্দিন কালু অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, মাছের ব্যবসা শুরু করার সময় চৌধুরী বংশের আমার এক বন্ধু মানসম্মানের ভয়ে ব্যবসায় আসে নি। আর আজকে আমার মতো একজন মাইচ্ছ্য বা চাড়ালকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এআইপি সম্মানে ভূষিত করেছেন। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। এ দেখে পুরো জাতি জাগ্রত হবে।

এআইপি সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

Advisory Editor

Advisory Editor of http://www.krishisongbad.com/

Learn More →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *