প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ পদ সৃষ্টির দাবি পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের

প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ

বাকৃবি প্রতিনিধি:
প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ ঃ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত নতুন অর্গানোগ্রামে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পদ সৃষ্টি এবং পশুপালন ও পশুচিকিৎসা পেশার জন্য স্বতন্ত্র দুটো অধিদপ্তরের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পশুপালন অনুষদ ছাত্র সমিতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদে সম্মেলনে পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজমুল ইসলাম, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মুনিরুজ্জামান, পশুপালন অনুষদ ছাত্র সমিতির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম, পশুপ্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম ভূইঞা, পশুপালন ছাত্র সমিতির সহ-সভাপতি মো, ইশতিয়াক আহমেদ পিহানসহ বিভিন্ন লেভেরের ছাত্র নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পশুপালন অনুষদের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাসান। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর একটি যুগপযোগী অর্গানোগ্রামের খসড়া তৈরি করে তা বাস্তবায়নের জন্য সংস্থাপন মন্ত্রালয়ে প্রেরণ করা হয়। সংস্থাপন মন্ত্রালয় থেকে উক্ত অর্গানোগ্রাম যাচাই বাছাই করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর প্রকাশ করা হয়, যেখানে এন্ট্রি লেভেলের প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এলইও) পদটি বহাল রেখে অর্থ মন্ত্রালয়ে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু গত ১০ সেপ্টেম্বরে অর্থ মন্ত্রালয় থেকে যে অর্গানোগ্রামটি প্রকাশিত হয় সেখানে একদল ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ মদদে উক্ত পদের প্রস্তাবনাটি বাদ পড়ে। যা প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের অন্তরায় এবং তা প্রাণিসম্পদকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এইও) এবং মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এফইও) পদ থাকার কারণে আজ শস্যখাত এবং মৎস্যখাতে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আজ আমরা শস্যখাত এবং মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পদটি না থাকায় দেশ আজও প্রাণিজ সম্পদে অনেক পিছিয়ে আছে। প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পদটি সৃষ্টি করা হলে শস্যখাত ও মৎস্যখাতের ন্যায় প্রাণিসম্পদের বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পশুপালন ও পশুচিকিৎসা পেশার জন্য আলাদা দুটো অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করলে প্রাণিসম্পদে খুব কম সময়ে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পদের দাবিতে গত বুধবার থেকে পশুপালন অনুষদের সব লেভেলের শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে। দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

Advisory Editor

Advisory Editor of http://www.krishisongbad.com/

Learn More →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *