ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনীতে রাষ্ট্রপতির বাণী

ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ

রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ

কৃষিসংবাদ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৬-৩০ জুন ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও ১৬-১৮ জুন জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“প্রতিবারের ন্যায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ বছরও জুন মাসে দেশব্যাপী ‘ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ’ ও ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

সভ্যতার শুরু থেকেই ফলের বহুবিদ ব্যবহার সর্বজনবিদিত। ফল বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ  লবনের সবচেয়ে ভালো উৎস। ফলের ঔষধি গুণও যথেষ্ট। তাই দেহের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ফলের কোনো জুড়ি নেই। আমাদের দেশের মাটি ও জলবায়ু ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত অনুকূল। এখানে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, আনারস, আমড়া, লেবু, তাল, তরমুজ, আতা, কুল, কামরাঙা, সফেদা, নারিকেল, ডালিমসহ নানা জাতের ও স্বাদের ফল উৎপন্ন হয়। আজকাল বিদেশি ফল স্ট্রবেরি, আঙুর, কমলা, ম্যান্ডারিন দেশে চাষ হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও ফলদ বৃক্ষের রয়েছে অপরিসীম অবদান। তবে দেশীয় ফলের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে কীটনাশক ও প্রিজারভেটিভের অপরিকল্পিত ব্যবহার ইতোমধ্যে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

তাই এ ব্যাপারেও সকলকে সচেতন হতে হবে এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিকল্পিতভাবে অপ্রচলিত বিভিন্ন দেশীয় ফলের আবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে ফল উৎপাদন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।

পুষ্টির পাশাপাশি আয় ও কর্মসংস্থানে ফলদ বৃক্ষের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রেক্ষাপটে ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষের এবারের প্রতিপাদ্য ‘অর্থ পুষ্টি স্বাস্থ্য চান, দেশি ফল বেশি খান’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ নতুন প্রজন্মসহ আপামর জনগোষ্ঠীর কাছে ঐতিহ্যবাহী ও বৈচিত্র্যময় দেশীয় ফলের ভা-ার সম্পর্কে জানাতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ দানাদার ফসলের ন্যায় ফল উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে বলে প্রত্যাশা করি।

খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য দেশবাসীকে বেশি করে ফলদ বৃক্ষরোপণের উদাত্ত আহ্বান জানাই। আমি ‘ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ’ ও ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ ২০১৬ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *