***এ কিউ রাসেল***
সম্প্রতি বন্যায় টাঙ্গাইলের ৭টি উপজেলায় প্রাণিসম্পদের ২৬কোটি, ৬৭লক্ষ, ৮৫হাজার ৮শ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতি, বাসাইল, দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলায় গবাদি পশুর ১১৮টি খামার, ৪৪৭টি হাঁস-মুরগীর খামার এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
টাঙ্গাইল প্রাণিসম্পদ দফতরের তথ্য মতে, বিনষ্ট পশুপাখির দানাদার খাদ্যের পরিমান দাড়িয়েছে ৭শ টনে, যার মূল্য ২কোটি ১০লক্ষ টাকা, খরের পরিমান ২১হাজার ২শ টন, যার মূল্য ৯কোটি ৭লক্ষ ৬২হাজার টাকা, বিনষ্ট ঘাসের পরিমান ১১হাজার ৬শ ৭০টন, যার মূল্য ২ কোটি ৫৮লক্ষ ১০হাজার টাকা, মৃত পশু পাখির ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৯০ হাজার ৮শ টাকা।
এ পর্যন্ত ৯হাজার ৭২টি গবাদিপশু ও ৫৬ হাজার৫০টি হাঁস-মুরগির নিয়মিত টিকাদান এবং চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে বলে দফতরটি জানিয়েছেন।
এদিকে বন্যা দূর্গত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মানুষের খাদ্যের চেয়ে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, গো খাদ্য ও হাঁস- মুরগীর খাবারের। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে চারণ ভূমি, পচে নষ্ট হয়ে গেছে শুকনো খড়। দিশেহারা হয়ে পড়েছে বন্যা দূর্গত এলাকার পশু ও হাঁস-মুরগী পালনকারি পরিবার গুলো।
গোপালপুর উপজেলার বন্যা দূর্গত সোনামুই গ্রামের শহিদ আলি বলেন, ‘আমাদের ত্রাণের চেয়ে বেশি দরকার হাঁস-মুরগী এবং গরু ছাগলের খাবারের। সরকারি, বে-সরকারি উদ্যোগে হাঁস-মুরগী এবং গো-খাদ্যের ব্যাবস্থা করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছে তারা।
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম