রাফি আব্দুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতাঃ
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেইফ ফুডের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএআরসি)-এর লাইভস্টক ডিভিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ রফিকুল ইসলামকে সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক কে.এইচ.এম. নাজমুল হুসাইন নাজিরকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট এ কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন হাজী মোঃ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ খালেদ হোসাইন ও বিএআরসি’র ক্রপ ডিভিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ হারুনুর রশিদ। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) এর ফিসারিজ রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এসকে. আহমেদ আল নাহিদ, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার (লাইভস্টক) ড. মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক হিসেবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও পাবলিক হেলথ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. মোস্তফা আনোয়ার, সমাজ কল্যাণ ও যোগাযোগ সম্পাদক হিসেবে সিলেটের উসমানীনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক হিসেবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন ইজি লাইফের কনসালটেন্ট মোঃ আনিসুল ইসলাম। এছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদার, বায়োল্যাব এর সিইও ডাঃ কামরুজ্জামান খোকন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি ইনস্টিটিউট (বিনা) এর সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোঃ মাহবুবুল আলম তরফদার, সার্ক এগ্রিকালচারাল সেন্টারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা নাসরিন জাহান ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মোঃ সোহেল রানা সিদ্দিকী। উল্লেখ্য, আগামী ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ সাল পর্যন্ত এ কমিটি দায়িত্বপালন করবে।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপদ খাবার সম্পর্কে সচেতনতা মাত্রা খুবই কম। ফলস্বরূপ, উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ীরা এবং ভোক্তারাও সমানভাবে অনিরাপদ খাদ্য দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। সুতরাং, নিরাপদ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য একটি নিরাপদ খাদ্য শৃঙ্খল বজায় রাখা এবং পরবর্তীকালে একটি স্বাস্থ্যবান জাতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ”বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেইফ ফুড” মূলত তিনটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে গঠিত হয়েছে। উদ্দেশ্যগুলো হচ্ছে:
১। উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী, ভোক্তা এবং অন্যান্য স্টোকহোল্ডারদের মধ্যে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
২। সোসাইটির জন্য নিরাপদ খাদ্য, গবেষণা এবং উন্নয়ন সংক্রান্ত তথ্য এবং তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং সম্প্রচার।
৩। উৎপাদন থেকে শুরু করে ডাইনিং টেবিল পর্যন্ত খাদ্যে ভেজাল ও শোধন ব্যবস্থাগুলি খুঁজে বের করা ও সমস্যার সমাধান করা।