কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি থেকে
পশুখাদ্য হিসাবে চালের কুড়া
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পশুখাদ্য হিসাবে চালের কুড়া (রাইস ব্রান)এর উপর দুইদিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপুষ্টি বিভাগের আয়োজনে বৃহস্পতিবার ৫ জুলাই ২০১৮ সকাল ১০টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কাঁচা ঘাস গবাদিপশুর প্রিয় খাবার। আবার উন্নত জাতের ধানের চাষে কমে যাচ্ছে খড়ের পরিমাণ। ফলে গবাদিপশুর বিকল্প খাবারের উপর জোড় দিতে হবে। গবাদিপশুর ফিড মিলে ব্যবহৃত রাইস ব্রান (ধানের তুষ ফেলে দেওয়ার পর চালের উপর যে লালচে আবরণ/ চালের কুড়া) কে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে ব্যবহার করলে আরো বেশি গুনগতমানের রাইস ব্রান পাওয়া যাবে। রাইস ব্রান জৈব ভিটামিন, খনিজ ও এন্টি অক্্িরডেন্টের ভালো উৎস্য। প্রক্রিয়াজাতকৃত রাইস ব্রান ব্যবহারের ফলে খাবারের মান বৃদ্ধি পাবে কমে আসবে মূল্য। সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সেমিনারের সভাপতি অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্টপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ এ্যানিমেল হাজবেনডারি এসোসিয়েশানের সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন, জার্মানীর হোয়েনহেইম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাইকেল গেয়ারসন ও ড. উটা ডিকহোপার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পশুপুষ্টি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম।
অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ক্রমেই দেশে ধানের উৎপাদন বাড়ছে। ধান থেকে ৭-৯ শতাংশ রাইস ব্রান পাওয়া যায়। রাইস ব্রান সরাসরি পশু খাদ্য তৈরিতে ও রাইস ব্রান থেকে উৎপাদিত তেল মানুষের খাদ্যে ব্যবহার হয়। এই রাইস ব্রানকে ফার্মেন্টেশন (গাাঁজন) করে তারপর শুকিয়ে ব্যবহার করলে এর ক্ষতিকর উপাদান কমে, খাবারের গুনাগুণ বৃদ্ধি করে। ফলে ফিড মিল তৈরিতে আগে যে অনুপাতে রাইস ব্রান ব্যবহার করা যেতো এখন তার থেকে বেশি অনুপাতে ব্যবহার করা যাবে। ফার্মেন্টেশনের ফলে এর ফাইটাইট ফসফরাস, ফাইবার ও ্ওন্ট্রি নিউটেন্ট কমবে আপরদিকে প্রোটিন, প্রোটিনের গুনাগুন, হজমীকরণ, শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এজন্য বিভিন্ন ইন্ড্রাস্টি এগিয়ে আসতে হবে বাণ্যিজিককরণ করলে খাদ্যমান বাড়বে সাথে কমবে মূল্য।
সেমিনারের ১ম দিনে চারটি টেকনিক্যাল সেশনে ২৭টি পোস্টার উপস্থাপন করা হয়।