নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল):
বৈরী আবহাওয়া থেকে রেহাই পেতে প্রয়োজন পূর্বপ্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা। আগে বৈশাখে ঝড় আর বর্ষাকালে বন্যা ছিল স্বাভাবিক চিত্র। এখন শীতেও ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষায়ও দেখা দিচ্ছে খরা। একই মাসের মধ্যে আবহাওয়ার বিভিন্ন রূপ। কখন যে কী হয় তা বলা মুশকিল। জলবায়ু পরিবর্তনই এর জন্য দায়ী। তবে এ অবস্থাকে ভয় পেলে চলবে না। প্রতিকূলতার মধ্যদিয়েই কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আজ ৩১ মে নগরীর সাগরদিস্থ ব্রি সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপি এক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ এসব কথা বলেন।
কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের আয়োজনে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মঝহারুল আজিজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রমজান আলী এবং আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার নির্মল কুমার দে।
বরিশাল সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার সাবিনা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই বরগুনার উপপরিচালক মো. সাইনুর আজম খান, পিরোজপুরের উপপরিচালক আবু হেনা মো. জাফর, পটুয়াখালীর উপপরিচালক হৃদয়েশ^র দত্ত, আঞ্চলিক অফিসের উপপরিচালক তুষার কান্তি সমদ্দার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ হোসেন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ছাব্বির হোসেন প্রমুখ।
কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, আবহাওয়া অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৯০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।