মৌসুম ছাড়াই ইলিশের অস্বাভাবিক আমদানি ঃ আড়তদার ও শ্রমিকরা খুশি

ইলিশের অস্বাভাবিক আমদানি

Hilsa Ilsa marketকৃষিসংবাদ ডেস্কঃ

ইলিশের অস্বাভাবিক আমদানি
এ বছর ভর মৌসুমে ইলিশ ধরা না পড়ায় চাঁদপুর মাছঘাটের জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা হতাশার মধ্যে সময় কাটিয়েছেন। বর্তমানে মৌসুম ছাড়াই চাঁদপুর মাছঘাটে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে, যা স্বাভাবিক আমদানির চেয়ে অনেক বেশি। এ অস্বাভাবিক আমদানির কারণে জেলে ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আনন্দ দেখা দিয়েছে। শীতের এ অসময় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ব্যাপক হারে ইলিশ ধরা পড়ছে। এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে মাছঘাটে। দামও কিছুটা কম। এ কারণে ঘাটে কর্মতৎপরতা বেড়েছে। আড়তদার ও শ্রমিকরাও খুশি।

মৎস্য গবেষকদের দাবি, ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমের সফল বাস্তয়নের জন্যই ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। শীত মৌসুমে সাধারণত এ ঘাটের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা অলস সময় পার করেন। তবে এ বছর দৃশ্যপট একেবারে ভিন্ন। এসব ইলিশ চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা ও লক্ষ্মীপুর থেকে আসছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলি গাজী জানান, অন্যান্য বছর এ সময় ২০০ থেকে ৩০০ মণ ইলিশ আমদানি হতো। কিন্তু এ বছর ইলিশের আমদানি অনেক বেড়েছে। আড়তে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৯০০ টাকা এবং ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশ প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত শ্রমিকরা খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা বলছেন, কাজ করতে পারলে ভালো লাগে, আয় হয়, সংসার ভালো চলে। তবে যেভাবে ইলিশ আমদানি হচ্ছে, তাতে ইলিশের দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আলোকিত বাংলাদেশ।।

কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *