র্যাগিং বিরোধী সমাবেশ
বশিরুল ইসলাম,শেকৃবি
র্যাগিং বিরোধী সমাবেশ ঃ মাদক, জঙ্গীবাদ ও র্যাগিং প্রতিরোধ করে শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকাল ৩ টায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় অডিটয়িরামে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক কৃষিবিদ মীর শহীদুল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষিবিদ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ, তেজগাঁও বিভাগে উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার তালুকদার। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সেকেন্দার আলী। সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমিনের সδানলনা স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ কমিশনার কৃষিবিদ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, র্যাগিং নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে হলগুলোতে টর্চার কক্ষ রয়েছে, যেখানে ছাত্র – ছাত্রীদের নির্যাতন করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন সমস্ত হলগুলোতে অভিযান চালাতে। যার প্রেক্ষিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করার পর তাদের পরামর্শে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আমি ছাত্র- ছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানাই তোমরা নিজেরা মাদক সেবন করবে না। যারা সেবন করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এক্ষেত্রে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
বাংলাদেশ পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক কৃষিবিদ মীর শহীদুল ইসলাম বলেন, যেখানে যাবেন জনগণের সেবা করবেন। আবরার হত্যার বিষয়ে বলেন, নিজের ক্যাম্পাসের কিছু সিনিয়র বা জুনিয়রের হাতে একজন মেধাবী ছাত্র নিহত হয়েছে। এতে ২২ টি পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে যাবে। তাই জোর-জবরদস্তি, র্যাগিং করে নয়, তোমরা এমন আদর্শ গড়ো যাতে তোমার চালচলন, আদর্শ দেখে অন্যরা তোমার কাছে আসবে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উ্িদ্দন আহাম্মদ বলেন,র্যাগিং একটি অপসংস্কৃতি। শিক্ষার্থীদের মনন বিকাশে বাধা দেয় এমন অপসংস্কৃতি থেকে সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়া সম্ভব। র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করেছে।