হাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী

কৃষি সংবাদ ডেস্ক

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী : যথাযোগ্য মর্যাদা ও দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। সকাল ৯ টায় ভাইস-চ্যান্সেলর (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার-এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীেেদর নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালী ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। সকাল সাড়ে ৯:৩০ টায় ভাইস-চ্যান্সেলর(রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। ক্রমান্বয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী, কর্মচারি ও হাবিপ্রবি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের ২৬ মার্চের বাণী পাঠ ও বিতরণ করা হয়।
ভাইস-চ্যান্সেলর(রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার তার বাণীতে বলেন মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে আমি প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল। আজকের এই গৌরবময় দিনে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ সম্ভ্রম হারা মা-বোনকে। কৃতজ্ঞতা জানাই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাসহ জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। যাঁদের অশেষ ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল একটি গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। যার মর্মকথা ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সব ধরনের অবিচার ও বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি। সে লক্ষ্য অর্জনে বর্তমানে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অদম্য গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে এবং হচ্ছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ আধুনিক সুযোগ সুবিধা পেতে শুরু করেছে। শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি বিশ^ব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। আমি এসকল সাফল্যের জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২১ উপলক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর একটি দেয়ালিকা উন্মোচন এবং শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং বাদ জুমা শহীদদের বিদেহী আতœার মাগফেরাত কমনা করে কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advisory Editor

Advisory Editor of http://www.krishisongbad.com/

Learn More →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *